বামনা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় গোস্বমী’র বিরুদ্ধে ঘুষ ও দূ্র্নীতি

Picsart_25-01-04_19-35-59-036.jpg

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"border":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

বামনা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় গোস্বমী। ছবি সংগৃহিত।

অপরাধ প্রতিনিধিঃ নানা রকম অনিয়ম ও দূর্নীতিতে নিমজ্জিত বামনা উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস। ঘুষ ও সেচ্চাচারিতার একাধিক অভিযোগ উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় গোস্বমী’র বিরুদ্ধে।

হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় গোস্বমী নিয়মিত অফিস না করেও প্রতিদিন হাজিরা খাতায় উপস্থিতি নিশ্চিত করেন।

বামনা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস, এলজিআরডি কর্মকর্তার অফিস, মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস, সহ প্রায় সকল অফিস থেকে বিলের ৫ থেকে ১০ ভাগ টাকা তাকে দিতে হয়, না হলে তিনি ফাইলে সই করেন না।

হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় গোস্বমী সপ্তাহে ৩দিনের বেশি অফিস করেন না। অথচ অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় হাজিরা খাতায় সপ্তাহে ৫ দিনই স্বাক্ষর করে রাখেন।

উপজেলার সেবাগ্রহীতাদের সাথে তিনি ব্যাপক হয়রানী করেন, পরে করে দিবেন বলে মাসের পর মাস কাজ আটকে রাখেন বরং টাকা ছাড়া কোন কাজই করেন না তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার নিজের অফিসের যাবতীয় কাজসমূহ বিভিন্ন অফিসের লোকজন দিয়ে করিয়ে নেন। উপজেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে ব্যাক্তিগত ভাবে টাকার চুক্তি করেন, যাতে তার অফিসের অন্যান্য স্টাফরা না জানে।

উপজেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ বলেন, উনি নিজে সরাসরি টাকা দাবী করেন এবং নিজে টাকা ঘুষ গ্রহন করেন।

উপজেলায় টাকা ছাড়া কোন পেনশনারের কাজও করেন না। পেনশনারগন সেবার জন্য মাসের পর মাস টাকা দিয়েও ঘোরাঘুরি করতে হয়।

সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন অফিসের বিভিন্ন ধরনে বেতন নির্ধারনের জন্য লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন তিনি।

একাধিক শিক্ষক নিশ্চিত করেছেন, নতুন জাতীয় করণকৃত বামনা সরকারি কলেজের ৪৫ জন শিক্ষক ও স্টাফদের কাছ থেকে তাদের বেতন নির্ধারন বাবদ জনপ্রতি ৭৫০০ টাকা করে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

তাদের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জন পিআরএলরত শিক্ষকের কোন কাজই এখনো করেন নি, তারা প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। তাদেরকে প্রায় ৬ মাস ধরে ঘোরাচ্ছেন।

বামনা উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অফিস ভবনটি অনেক নোংরা, অগোছালো ও জরাজীর্ণ। অফিসে কোন মালামাল ঠিকমত নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার অফিসের কয়েকজন স্টাফ এর কাছে জানা গেছে উনি প্রতি অর্থবছরের নিজ অফিসের বরাদ্দের টাকা মনগড়া বানানো ভাউচার দিয়ে তুলে নিজের পকেটে রাখেন। অফিসের কাউকে তিনি জানান না।

তিনি অফিসের কোন কাজই করেন না। এ বিষয়ে তার অফিসের একজন স্টাফ ডিসিএ,বরিশাল অভিযোগ দিলেও তাতে কোন লাভ হয়নি। কারণ, তিনি আবার সবাইকে ম্যানেজ করেই চলেন।

ঘুষ ও দূর্নীতির কোটি টাকায় তার নিজ জেলা খুলনাতে মোটা অংকের বিনিময়ে একটি ফ্লাটও ক্রয় করেছেন। যদিও অফিসের লোকজন জাননে না এমনি সম্পদ বিবরণীতেও উল্লেখ করেন নি তিনি। এত অল্পদিন চাকুরী করে কিভাবে ফ্লাট ক্রয় করলেন? তার সহকর্মীরাও শুনে অবাক। যেখানে চাকুরী করে তিনবেলা খাবার জোটানোই দায় সেখানে অনিয়ম ও দূর্নীতির জমানো টাকা দিয়ে ফ্লাট কিনেছেন।

সাংবাদিকদের সাথে নাকি তার রমরমা খাতির, যখন তখন তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। তিনি
তার এ অপকর্ম ঢেকে রাখার জন্য প্রতি মাসে বিভিন্ন সাংবাদিকদেরকে ভাল অংকের টাকা চাঁদা দেওয়ারও সুনাম রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তন্ময় গোস্বমী আগের অফিসে চাকুরী করার সময়ও নানা রকম অনিয়মের সাথে যুক্ত ছিলেন।

তিনি পাথরঘাটা অ‌তি‌রিক্ত দা‌য়ি‌ত্ব পালনকালীন সম‌য়ে দু‌র্নীতির অ‌ভি‌যো‌গে তা‌কে সেখান থে‌কেও বদলী করা হয়েছে।

সাধারণ জনগনের রক্ত চুষে নিজের ও পরিবারের সম্পদ গড়ছেন তন্ময় গোস্বমী। শিক্ষকরা সবচেয়ে অবহেলিত সেই শিক্ষকদের রক্ত চুষে খান। ঘুসের টাকা অস্বীকার করতে তাদের প্রত্যেকের কাছে তিনি মুচলেকা নিয়েছেন।

তন্ময় গোস্বমী’র অনিয়ম ও দূর্নীতি সম্পর্কে জানিয়ে সিনিয়র কর্মকর্তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, অপরাধের শাস্তি পেতেই হবে। কেউ নিজ থেকে সাবধান না হলে আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে।

ভুক্তভোগী একজন শিক্ষক বলেন, প্রয়োজনে ডিপার্টমেন্টের সিনিয়রের কাছে যাব তার অপরাধের বিচার নিয়ে। আইন আদালত তো করবই।

বামনা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় গোস্বমী’র বিরুদ্ধে ঘুষ ও দূ্র্নীতি সম্পর্কে তার বক্তব্য জানতে ফোন করলে তিনি তার অফিসের এক সহকারীর নাম বলেন এবং সেই সহকারী ফোন করেন।

আরও সংবাদ পড়ুন।

এস এম রেজভী হলেন নতুন হিসাব মহানিয়ন্ত্রক

আরও সংবাদ পড়ুন।

গৌরনদী’র সাবেক হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সুধাংশু কুমার ও তার স্ত্রী পরমিতার বিরুদ্ধে – দুদকের মামলা

আরও সংবাদ পড়ুন।

২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৮৭ লাখ কোটি টাকার অডিট আপত্তি; জাতীয় বাজেটের তুলনায় ১৩ গুণ বেশি

আরও সংবাদ পড়ুন।

সার্চ কমিটির সদস্য হলেন মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম

আরও সংবাদ পড়ুন।

সিএজি পদত্যাগ ও অডিটর পদকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে বিক্ষোভ চলছে

আরও সংবাদ পড়ুন।

সারাদেশে অডিটরদের কর্মবিরতি, অর্থ পরিশোধ ব্যবস্থায় স্থবিরতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top