বোরহানউদ্দিন বড়মানিকা ইউনিয়নে অবৈধ ভাবে কৃষি জমির মাটি তুলে নিচ্ছে

বোরহানউদ্দিন বড়মানিকা ইউনিয়নে অবৈধ ভাবে কৃষি জমির মাটি তুলে নিচ্ছে

সাগর চৌধুরীঃ ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধী বাড়ির সামনে বদুর বাপে গো বাড়ি, হজর আলীরগো বাড়ী’র ঠিক পেছনের অংশ থেকে কৃষি জমির টপ সয়েল বা কৃষি জমির উপরের অংশের মাটি তুলে নিচ্ছে অবৈধ ভাবে। লক্ষ লক্ষটাকার মাটি বেচা-কেনা হচ্ছে জনসম্মুখে। বর্তমান সরকার কৃষির উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য যা সম্পূর্ণ অবৈধ ঘোষণা করেছে।

বড়মানিকা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের
স্থানীয় চকিদার, মেম্বার বা চেয়ারম্যান স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর কথা থাকলেও তারা কেউই স্থানীয় থানায় বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানায়নি। এমনকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকেও জানানো হয়নি বলে জানান, স্থানীয় প্রশাসন।


চারপাশে কৃষি জমি মাঝখান থেকে এমন ভাবে মাটি তুলে নিচ্ছে যে একটু দূর থেকে বোজার উপায় নেই। বিশাল গর্ত খুড়ে মাটি নিয়ে যাচ্ছে পাইপ দিয়ে।

সিনিয়র আইজীবি ও সাংবাদিক দিদারুল আলম এর কাছে জানতে চেয়েছিলাম কৃষি জমি থেকে মাটি তুলে নিলে কি কি অপরাধে শাস্তি হতে পারে?

দিদারুল আলম বলেন, কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন-২০১৯’ এর প্রাথমিক খসড়ায় আইন লঙ্ঘনের শাস্তি নির্ধারণ করা হয় সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা সর্বনিম্ন তিন লাখ টাকা জরিমানা কিংবা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে অপরাধী দন্ডিত হতে পারেন। তবে সরকারী বিধিমালা অনুযায়ী এর শাস্তি বিধান করতে পারেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী কর্মকর্তা, এসিল্যান্ড অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এছাড়াও অভিযোগের ভিত্তিতে নিম্ম আদালত বা পরিবেশ আদালত।

এই শোলো মেশিন দিয়ে তুলে নিচ্ছে কৃষি জমির মাটি।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কৃষিবিদ ওমর ফারুক বলেন, কৃষি জমির উপরিভাগ বা টপ সয়েল তুলে নেওয়ার ফলে কৃষির ব্যপক ক্ষতি হয় এবং সরকারের বিধিতে নিষেধ করা হয়েছে। কেউ এমন অপরাধ করলে উপজেলা প্রশাসন এবং এসিল্যান্ড ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল ও জরিমানা করতে পারেন। একজন কৃষিবিদ হিসাবে আমি এই অপরাধের দন্ড কামনা করি।

ভোলা জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কৃষি জমির উপরিভাগ বা টপ সয়েল তুলে নেওয়া দন্ডনীয় আপরাধ। এই অপরাধে কারাদণ্ড বা জরিমানা ক্ষেত্র বিশেষে উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারেন। উপজেলা প্রশাসন এবং এসিল্যান্ড ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এই দন্ড দিতে পারেন।

তবে স্থানীয় সচেতন মহল বলছে,দণ্ডনীয় অপরাধ হওয়া সত্বেও স্থানীয় প্রশাসন এর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top