দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন বন্ধ করে অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে পুনঃতফশিল ঘোষণা করুন। যদি ন্যূনতম দেশপ্রেম থাকে, তাহলে দ্রুত পদত্যাগ করুন। কারাবন্দি রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন।
রাজনৈতিক প্রতিবেদনঃ শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের একদফা এবং ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসাবে রোববার ভোটের দিনসহ ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
আগের দিন শনিবার ভোর ৬টা থেকে ভোটের পরদিন সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
এছাড়াও আজ সারা দেশে মিছিল, গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের কর্মসূচিও দেওয়া হয়েছে। একই কর্মসূচি পালন করবে গণতন্ত্র মঞ্চসহ সমমনা দল ও জোট। যুগপৎ আন্দোলনে না থাকলেও এ তিনদিনের কর্মসূচি পালন করবে জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টিসহ আরও কয়েকটি দল।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে সতর্ক থেকে কর্মসূচি সফল করুন। ভোট বর্জনের লিফলেট প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবেন। সরকারের উদ্দেশে বলছি, জোর করে ডামি ও একতরফা নির্বাচন করে দেশের বিপদ ডেকে আনবেন না। এভাবে পাতানো নির্বাচন করে, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না।’
রিজভী বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বলব, অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর অবৈধ আদেশ পালন করা থেকে বিরত থাকুন। একজন একনায়কের অবৈধ ক্ষমতালিপ্সা চরিতার্থ করার সহযোগী হয়ে ১৮ কোটি জনগণের বিপক্ষে দাঁড়াবেন না। ৭ জানুয়ারির পূর্বনির্ধারিত ফলের পাতানো নির্বাচনে কোনো সহযোগিতা করবেন না।’
একই কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ (দুই অংশ), লেবার পার্টি, গণফোরাম (মন্টু), পিপলস পার্টিসহ সমমনা দলগুলো।
এক বিবৃতিতে সারা দেশের জনগণকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ। একই সঙ্গে তিনি শান্তিপূর্ণভাবে তিনদিনের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
পৃথক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম বলেন, ‘সরকার তার সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে আলাদা করার প্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন করেছে। ভোটের দিন সরকার পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে মর্মে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। সরকারের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের করবে জনগণ।’
এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ এক ভিডিও বার্তায় দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘ভোট বর্জন করুন। ভোটের দিনে প্রিয়জনকে সময় দিন। আওয়ামী মাফিয়া গোষ্ঠীকে এবার লাল কার্ড দেখিয়ে দিন।’
এদিকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে সব সাংগঠনিক জেলায় চিঠি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এতে সারা দেশের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের আত্মীয়স্বজনরাও যেন ভোটকেন্দ্রে না যান, সেজন্যও বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জনগণকে সর্বাত্মকভাবে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন বন্ধ করে অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে পুনঃতফশিল ঘোষণা করুন। যদি ন্যূনতম দেশপ্রেম থাকে, তাহলে দ্রুত পদত্যাগ করুন। কারাবন্দি রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।