সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি: তদারকি ও সমন্বয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান
বিশেষ প্রতিবেদকঃ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীতে পরিচালিত সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রমে জনসাধারণের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। একইসাথে বেড়েছে এ সব পণ্যের চাহিদাও। এ বিষয়গুলো বিবেচনা করে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি করেছে মন্ত্রণালয়।
বুধবার (৬ এপ্রিল) ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রমের স্থান বাড়ানোর পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে পণ্যের সরবরাহও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
পূর্বনির্ধারিত সচিবালয় সংলগ্ন আব্দুল গণি রোড, খামারবাড়ি গোল চত্বর, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি, মিরপুর ৬০ ফুট রাস্তা, আজিমপুর মাতৃসদন, নয়াবাজার, আরামবাগ, নতুন বাজার, কালশী এবং যাত্রাবাড়ির পাশাপাশি আজ থেকে খিলগাঁও, নাখালপাড়ার লুকাস মোড়, সেগুনবাগিচা ও উত্তরার দিয়াবাড়িতে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
স্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিটি ভ্রাম্যমান গাড়িতে দুধ, ডিম ও মাংসের সরবরাহ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আজ (৬ এপ্রিল) মোট ১ হাজার ৫০০ কেজি গরুর মাংস, ১৫০ কেজি খাসির মাংস, ৫০০ কেজি ড্রেসড্ ব্রয়লার, ৩ হাজার লিটার দুধ ও ২০ হাজার ডিম বিক্রির জন্য সরবরাহ করা হয়েছে। ৩ হাজার ২৩০ জন ক্রেতা আজ ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র থেকে পণ্য ক্রয় করেছেন।
অপরদিকে এ ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য প্রতিটি স্থানে একজন উপসচিবকে দায়িত্ব প্রদান করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৈনন্দিন প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও এ কার্যক্রম তদারকি করছেন।
উল্লেখ্য, রাজধানীতে ১ রমজান থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে ২৮ রমজান পর্যন্ত। প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে পাস্তুরিত তরল দুধ প্রতি লিটার ৬০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২০০ টাকা এবং ডিম প্রতি হালি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প ভ্রাম্যমাণ এ কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছে। এছাড়াও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে।