দুদকের তপশিলভুক্ত অপরাধ
দুদক আইন-২০০৪ ও দুদক বিধিমালা-২০০৭ অনুসারে সংস্থাটির তপশিলভুক্ত অপরাধগুলো হলো-
১/ সরকারি চাকরিজীবীদের দায়িত্ব পালনের সময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ বা উপঢৌকন গ্রহণ। এ ধরনের অপরাধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬২ ও ১৬৩ ধারায় এক থেকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের কথা বলা হয়েছে।
২/ সরকারি চাকরিজীবীসহ বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক যদি বেআইনিভাবে নিজ নামে কিংবা বেনামে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। এ অপরাধে দুদক আইনের ১৬৫ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের কথা বলা হয়েছে।
৩/সরকারি চাকরিজীবীদের আইন অমান্যের কারণে কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধিত হলে এবং ইচ্ছাকৃত ভুল নথি উপস্থাপনে কারও ক্ষতি সাধিত হলে। এ ধরনের অপরাধে আইনের ১৬৬ ও ১৬৭ ধারায় এক বছর থেকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
৪/ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি অনুমতি ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করেন কিংবা অন্যায়ভাবে নিলামে কোনো সম্পত্তি কেনেন তাহলে দুদকে আইনের ১৬৮ ও ১৬৯ ধারায় এক থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
৫/ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যদি কোনো অপরাধীকে শাস্তি থেকে রক্ষার চেষ্টা করেন কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য সংরক্ষণে কারও কোনো প্রকার ক্ষতি হলে তা দুদকের তপশিলভুক্ত অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। যা আইনের ২১৭ ও ২১৮ ধারায় দুই থেকে তিন বছরের শাস্তি ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
৫/ ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, সরকারি কর্মচারী এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী যদি সরকারি অর্থ বা সম্পত্তি আত্মসাৎ কিংবা ক্ষতি সাধন করেন, মিথ্যা হিসাব দাখিল করেন, জালিয়াতির কোনো দলিল বৈধ ব্যবহার করেন এবং অপরাধীর কাছে গোপন তথ্য ফাঁস করেন তা দুদক আইনের ৪০৯, ৪৭৭, ৪২০, ৪৬২, ৪৬৬, ৪৬৯ ও ৪৭১ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসব ধারায় সাত থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
এছাড়া কোনো ধরনের দুর্নীতি ও ঘুষ থেকে উদ্ভূত অর্থপাচার সংক্রান্ত অপরাধ, সরকারি সম্পদ সংক্রান্ত অপরাধসহ সরকারি স্বার্থহানিকর কোনো দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট অপরাধ দুদকের তফসিলভুক্ত।
আরও সংবাদ পড়ুন।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এস.কে সিনহার আমেরিকার বাড়ি ক্রোকের আদেশ; শীঘ্রই এমএলএআর
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
বিমান বাংলাদেশের ক্ষতি সাধন ও অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা