বাস-লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল শুরু
বিশেষ রিপোর্টঃ ঈদের আগে বিধিনিষেধের শেষ দিন ছিল গতকাল বুধবার। কিন্তু শেষ দিন ঢাকার রাস্তা থেকে বিদায় নিয়েছিল বিধিনিষেধ। বাস ছাড়া প্রায় সব ধরনের যানবাহনই চলেছে। এদিকে গতকাল গভীর রাত থেকে শুরু হয়েছে দূরপাল্লার বাস ও লঞ্চ চলাচল।
অনলাইনে ট্রেনের বিক্রি শুরু হয়েছে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে শুরু হয় ট্রেন চলাচল।
করোনা ভাইরাসের ডেলটা ধরনের ভয়াবহ সংক্রমণে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকায় গত ১ জুলাই সারা দেশে শুরু হয় কঠোর বিধিনিষেধ। ঈদ সামনে রেখে সেই বিধিনিষেধ আপাতত তুলে নেওয়া হয়েছে।
১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সকল বিধিনিষেধ শিথিল থাকবে। ঈদের ছুটির পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত আগের কঠোর বিধিনিষেধগুলো আবারও কার্যকর হবে।
রাতেই ছেড়েছে দূরপাল্লার বাস
কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করায় আজ সকাল ৬টা থেকে দেশে চলবে গণপরিবহন। তবে বুধবার রাত থেকেই দূরপাল্লার বাস চলেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
সাকুরা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মোহাম্মদ হাবিব গতকাল বলেন, ‘আজ রাত থেকেই বাস ছাড়া হবে। তবে কত জন যাত্রী নিয়ে বাস ছাড়বে, সেটা এখনো ঠিক হয়নি।’ মহাখালীতে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে অনন্যা পরিবহনসহ উত্তরবঙ্গ রুটে একতা, এনা ও সাদিকা পরিবহানের বাসগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির সব শর্ত নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অনন্যার ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরান রশীদ তুহিন জানান, এক আসন ফাঁকা রেখেই চালানো হবে বাস।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার মধ্যরাত থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সদরঘাটে মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ঈদযাত্রায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে লঞ্চ মালিক ও যাত্রীদের জরিমানা করা হবে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর সদরঘাট নৌবন্দর পরিদর্শনকালে তিনি এ-কথা বলেন।