প্রাথমিকে শিক্ষকের শূন্যপদ ২৮৮৩২ – প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন
শিক্ষা প্রতিবেদকঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ ৭ হাজার ১৮। এর মধ্যে ৪ হাজার ১৬৬টি ৬৫ শতাংশ হিসেবে পদোন্নতি যোগ্য-সংক্রান্ত শূন্যপদ। ২ হাজার ৮৫২ পদ হলো ৩৫ শতাংশ হিসেবে নিয়োগযোগ্য। সহকারী শিক্ষক পদের মোট শূন্যপদ ২১ হাজার ৮১৪। মোট শূন্যপদ ২৮ হাজার ৮৩২।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে মো. মামুনুর রশীদ কিরণের (নোয়াখালী-৩) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। এ সময় কোন জেলায় কত শিক্ষকের পদশূন্য তা বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩০ জুন ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগযোগ্য (৩৫ %) শূন্যপদে ৩৭তম বিসিএস থেকে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য গত ২৬ জুন ২০১৯ তারিখের ১৯ নং স্মারকে প্রয়োজনীয় তথ্য বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নির্ধারিত ফরমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির বিষয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৩, অধিগ্রহণকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরির শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০১৩ ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারী জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা, ২০১১ নীতিমালা অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়।
তবে আদালতে মামলা থাকায় (মামলা নং ১৫২৩১/ ২০১৮, পিরোজপুর; মামলা নং-২৮৬ / ২০১৮, দিনাজপুর) প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি কার্যক্রম আপাতত বন্ধ।
তবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
সহকারী শিক্ষকদের শূন্যপদ সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সহকারী শিক্ষকের (৬১ জেলার) ১৮ হাজার ১৪৭টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত নির্বাচিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের নামে নিয়োগপত্র জারি করা হয়েছে। শিগগিরই নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা যোগদান করবেন।
তিন পার্বত্য জেলায় জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে স্থানীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়।