মো. শফিকুল ইসলাম আকন্দ কর আপিল অঞ্চল-১ এর কর কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান রাজশাহী কর আপিল অঞ্চলের কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের দু’জনেরই মূল পদ অতিরিক্ত কর কমিশনার।
সাগর চৌধুরীঃ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর বিভাগের অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. শফিকুল ইসিলাম আকন্দ এবং মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল ২০২৫) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা পৃথক আদেশে সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মো. শফিকুল ইসলাম আকন্দ কর আপিল অঞ্চল-১ এর কর কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান রাজশাহী কর আপিল অঞ্চলের কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে তাদের দু’জনেরই মূল পদ অতিরিক্ত কর কমিশনার।
আদেশ বলা হয়েছে, তাদের চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং যেহেতু সরকার জনস্বার্থে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা প্রয়োজন মর্মে বিবেচনা করে; সেহেতু সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হলো।
শফিকুল ইসলাম আকন্দ চট্টগ্রাম কর্মরত থাকাকালে তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রধান উপদেষ্টা বরাবর এ বিষয়ে প্রমাণসহ অভিযোগ দাখিল হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। তার বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে মাহমুদুজ্জামান কর অঞ্চল-৫ সহ বিভিন্ন কর অফিসে কর্মরত থাকাকালে দুর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগ ওঠে। তার বিরুদ্ধেও অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (চলতি দায়িত্ব) আবু সাঈদ মো. মুস্তাক এবং ট্যাক্সেস আপিলাত ট্রাইব্যুনালের সদস্য ও সাবেক কর কমিশনার মো. গোলাম কবীরকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল। ওই সময়ও প্রজ্ঞাপনে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
তবে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে আলোচিত ৭২১ কোটি টাকা চীন থেকে দেশে এনে রেমিট্যান্স হিসেবে প্রদর্শনের ঘটনায়ও তারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন বলে জানা যায়।
আরও সংবাদ পড়ুন।
ঢাকা দক্ষিণ বন্ডে কমিশনার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান এর নেতৃত্বে ঘুষ বাণিজ্য; নিরব উপর মহল
আরও সংবাদ পড়ুন।
অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত – বাধ্যতামূলক অবসরে এনবিআরের ২ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
ঘুষের বিনিময়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি – রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে
আরও সংবাদ পড়ুন।
সাভার ইয়ারপুর সার্কেলের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবীর অভিযোগে দুদকের অভিযান
আরও সংবাদ পড়ুন।
কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক এর পৌনে ১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ
আরও সংবাদ পড়ুন।
পোশাক রপ্তানির আড়ালে ১০ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ৩০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার
আরও সংবাদ পড়ুন।
১০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অপরাধে উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলামকে আটক করেছে দুদক
আরও সংবাদ পড়ুন।
ঘুষ দাবি কোটি টাকা; ভ্যাট অফিসের বাহারুল ইসলাম ও আল মনছুর সাময়িক বরখাস্ত
আরও সংবাদ পড়ুন।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা খন্দকার মুকুলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
স্ত্রীসহ কাস্টমস কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন এর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আরও সংবাদ পড়ুন।
ঘুস গ্রহন; শুল্ক ফাঁকি; দায়িত্বে অবহেলা – অর্ধশতাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চলছে তদন্ত
আরও সংবাদ পড়ুন।