আমরা মিডিয়া যেন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেই : জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি
বিশেষ প্রতিবেদকঃ জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কবি হাসান হাফিজ বলেছেন, ‘আমরা সংকটময় মুহূর্ত কাটাচ্ছি । ষড়যন্ত্র হচ্ছে, আরো অনেক ষড়যন্ত্র হবে। আমরা মিডিয়া যেন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেই। আমরা যেন স্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচারিতা না করি।
তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কার চাই, পরির্বতন চাই। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-সাংবাদিকসহ অনেক মানুষ প্রাণ দিয়েছে। তাদের রক্তের সঙ্গে যেন আমরা বেঈমানি না করি।’
আজ শুক্রবার, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কবি হাসান হাফিজ এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়ার সম্মানে সংবর্ধনার আয়োজন করে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব।
কবি হাসান হাফিজ বলেন, ‘দেশে ও দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের বেশিরভাগ গণমাধ্যম এখনো তাদের ফ্যাসিবাদ আমলের অবস্থান পরিবর্তন করে নাই। ভারতীয় মিডিয়া আমাদের দেশ নিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে ভুল বার্তা দিচ্ছে। আমাদেরকে রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়। এখনও কেন রক্ত ঝড়বে, আমরা সীমান্তের কাঁটাতারে ফেলানির মত লাশ দেখতে চাই না। আমাদের বন্ধুত্ব হতে হবে সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সত্যিকারের বৈষম্যমুক্ত, সাম্য, ন্যায়, শোষনমুক্ত ও মুক্তচিন্তার বাংলাদেশ চাই। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দায়িত্ব অনেক বেশি। আমরা সবাই মিলে এ লক্ষে কাজ করবো। এটাই জাতির প্রত্যাশা। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একজন মাহাথীর মোহাম্মদ লাগবে। কারণ আমরা ৫০/১০০ বছর অপেক্ষা করতে পারবো না। একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে আমরা নিজেদের মাথা তুলে দাঁড়াতে চাই। আমরা যে সুযোগ পেয়েছি, সেটা যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে হয়তো আরো বড় স্বৈরাচার আমাদের ওপর চেপে বসবে।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নতুন বাংলাদেশে নতুন স্বপ্ন দেখছি। দেশে সাংবাদিকতাকে আবার নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য স্বপ্ন দেখছি। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জাদুঘরে চলে গিয়েছিলো। আজকে সাংবাদিকতাকে জাদুঘর থেকে বের করে আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় প্রেসক্লাব ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবো। যার সুবাদে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্যরা ঢাকায় গেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবে।’
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি’র সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈম, গোলাম মাওলা মুরাদ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ক্লাবের প্রবীন সদস্য মঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত।
সিনিয়র সদস্য শাহনেওয়াজ রিটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সদস্য ছাড়াও একাধিক সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ ও সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া
আরও সংবাদ পড়ুন।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী কালাকানুন বাতিলের দাবি সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
ডিআরইউ’র সভাপতি মুরসালিন নোমানী সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
বাংলাদেশ মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৬৫তম; দুই ধাপ পিছিয়ে গতবারের চেয়ে
আরও সংবাদ পড়ুন।
যে সকল সাংবাদিকদের বহিষ্কারের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের
আরও সংবাদ পড়ুন।