তৃনমূল পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকের পরিসর বিস্তার করছে দুদক – জহুরুল হক
বিশেষ প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কক্সবাজারের শুভ উদ্বোধন করেন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) মোঃ জহুরুল হক।
তৃনমূল পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকের পরিসর বিস্তার করছে দুদক। এরই মধ্যে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলাকে নিয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কক্সবাজার যাত্রা শুরু করেছে।
০২ জানুয়ারি ২০২২ দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কক্সবাজারের শুভ উদ্বোধন করেন কমিশনের মাননীয় কমিশনার (তদন্ত) মোঃ জহুরুল হক। এ উপলক্ষে আজ দুদকে এক প্রেস ব্রিফিংএ মাননীয় কমিশনার (তদন্ত) মোঃ জহুরুল হক মহোদয় তার বক্তব্য প্রদান করেন।
দুদকের কমিশনার বলেন, বর্তমানে দুদকের সক্ষমতা পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনারা আরও জেনে খুশি হবেন যে,কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে দুদকের সাংগঠনিক কাঠামোর পরিসর বাড়ানোর হচ্ছে। খুব শীঘ্রই (০১ জুলাই ২০২২থেকে) দেশের আরো ১৩ টি জেলায় কার্যালয় স্থাপন করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এর ফলে জনগণ আরো সহজে দুর্নীতির অভিযোগ পৌছাতে সক্ষম হবে এবং দুর্নীতিবাজদের মনে ভীতির সঞ্চার হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন কোনো দুর্নীতিবাজদের ছাড় দেয় না, ভবিষ্যতেও দেবে না। সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেয়। এই অর্থ যেন যথাযথভাবে ব্যাবহার হয় সেদিকে নজর রাখবে দুদক। এক্ষেত্রে দুদকের কোন গাফিলতি যেন না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে গণমাধ্যম দুর্নীতিদমনে কমিশনকে সহযোগীতা করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা নিয়ে কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয় স্থাপনের ঘোষণা আসে। এরপর গত ১ নভেম্বর আরও ১৩টি জেলা কার্যালয় স্থাপন ও চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। এগুলো হলো-নারায়ণগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ), গাজীপুর (গাজীপুর ও নরসিংদী), মাদারীপুর (মাদারীপুর ও শরীয়তপুর), গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর (জামালপুর ও শেরপুর), নওগাঁ (নওগাঁ ও জয়পুরহাট), কুড়িগ্রাম (কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট), চাঁদপুর (চাঁদপুর ও লক্ষীপুর), বাগেরহাট (বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা), ঝিনাইদহ (ঝিনাইদহ, মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গা) ও পিরোজপুর (পিরোজপুর ও ঝালকাঠি) সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
চলমান ২২টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে এই ১৪টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়। এতে করে মোট ৩৬ জেলায় সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে দুদক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিসর বিস্তারের ফলে দুর্নীতিবাজদের ধরা এবং আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এতে করে সাধারণ জনগণ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের দূরত্ব কমে আসবে, দুর্নীতির অভিযোগ সহজে আমাদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত ও জোরদার হবে।
নতুন কার্যালয় উদ্বোধনকালে কমিশনের সম্মানিত মহাপরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত-২) মোঃ জাকির হোসেন, সম্মানিত জেলা প্রশাসক (কক্সবাজার) মোঃ মামুনুর রশীদ, সম্মানিত পরিচালক, দুদক, বিভাগীয় কার্যালয়, চট্টগ্রাম মোঃ মনিরুল ইসলাম, উপরিচালক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কক্সবাজার সহ কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধতন কর্মকর্তাগণ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।