স্বাস্থ্যের কেনাকাটায় দুর্নীতির মহাউৎসব; অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে সুপারিশ

Picsart_24-01-29_18-00-39-831.jpg

স্বাস্থ্যের কেনাকাটায় দুর্নীতির মহাউৎসব; অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে সুপারিশ

বিশেষ প্রতিবেদকঃ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়াধীন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় থাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে গড়ে উঠেছে কর্তৃপক্ষ ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের শক্তিশালী চক্র। কেনাকাটায় এই চক্রের অনিয়ম-দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র চোখ কপালে ওঠার মতো। কেনাকাটায় জড়িত এই চক্র শুধু ২০২০-২১ অর্থবছরেই লোপাট করেছে ৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৮৮ হাজার ৯১৮ টাকা। সারাদেশে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় দেশে মোট ১৮টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং ১৩টি বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে।

সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল সামগ্রী ক্রয়; গজ-ব্যান্ডেজ সরবরাহ না নিয়েই বিল প্রদান; চাহিদা না থাকলেও যন্ত্রপাতি কিনে বাক্সবন্দি করে ফেলে রাখা; কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদারের কাছ থেকে যোগসাজশে ওষুধ ক্রয়; জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া বেতন-বিল; অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না থাকলেও আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে অতিরিক্ত কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে বেতন প্রদান এবং দরপত্র মূল্যায়নে জালিয়াতির মাধ্যমে উক্ত পরিমাণ অর্থ নয়ছয় করার ঘটনা ঘটেছে এসব প্রতিষ্ঠানে।

বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে ভয়ংকর এই দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল কিংবা বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) কার্যালয়ের নিরীক্ষায় (অডিট)।

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান অডিট অধিদপ্তর বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর ২০২০-২১ অর্থবছরের হিসাব সম্পর্কিত কার্যক্রমের ওপর কমপ্লায়েন্স অডিট বা নিরীক্ষা পরিচালনা করে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নিরীক্ষা করা হয়।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গত বুধবার সংবিধানের ১৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদে ৪৯টি অডিট ও হিসাব রিপোর্ট উপস্থাপন করেছেন। এর মধ্যে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর ২০২০-২১ অর্থবছরের হিসাব সম্পর্কিত কমপ্লায়েন্স রিপোর্টে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা অনিয়মের তথ্য রয়েছে।

৪৩ কোটি টাকার ঘাপলা যেভাবে

মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোতে উত্পাদনকারী কোম্পানির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের (এমআরপি) চেয়ে অধিক মূল্যে মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল সামগ্রী ক্রয় করায় সরকারের ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৪১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪০ টাকা। অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্যে মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল সামগ্রী কেনায় ৭ কোটি ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৮৬ টাকা সরকারের ক্ষতি হয়।

স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী গজ ও ব্যান্ডেজ সরবরাহ না নিয়েই এবং পরিমাণে কম সরবরাহ নিয়ে লোপাট করা হয়েছে ১ কোটি ৩১ লাখ ৮১ হাজার ৫০০ টাকা। ক্রয়কৃত মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি এবং সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরেজ ডিপট (সিএমএসডি) কর্তৃক প্রদত্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করে প্যাকেটজাত অবস্থায় ফেলে রাখায় সরকারের ক্ষতি হয়েছে ২ কোটি ৬০ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা।

সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদারের কাছ থেকে যোগসাজশ করে ওষুধ কেনায় অনিয়মিতভাবে খরচ করা হয়েছে ৫৪ লাখ ২১ হাজার ৩৭৮ টাকা। ব্যবহারের সামর্থ্য ও চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও চিকিত্সা যন্ত্রপাতি বাক্সবন্দি অবস্থায় ফেলে রাখায় ১৫ কোটি ৭৭ লাখ ৯০ হাজার ৭৩৪ টাকা ক্ষতি। জালিয়াতির মাধ্যমে ক্যাশ সরকার কর্তৃক অলীক বেতন বিল বাবদ সরকারি কোষাগার থেকে আত্মসাত্ করা হয়েছে ৭১ লাখ ২৬ হাজার ২২৬ টাকা।

আর বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্যে মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল সামগ্রী কেনায় ক্ষতি হয়েছে ২ কোটি ১ লাখ ১৬ হাজার ২৩০ টাকা। পিপিআর (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ)-২০০৮ লঙ্ঘন করে একই ব্যক্তি কর্তৃক দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি ও অনুমোদনকারী হিসেবে দরপত্র অনুমোদন করায় অনিয়মিতভাবে ব্যয় করা হয়েছে ৭ কোটি ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৬৩ টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত সংখ্যার চেয়ে অধিক সংখ্যক আউট সোর্সিং কর্মচারীর বেতন দেওয়ায় সরকারের ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৮ হাজার ৫০২ টাকা ক্ষতি হয়। এছাড়া পুনঃ টেন্ডারের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নন-রেসপনসিভ দরদাতাকে পুনরায় রেসপনসিভ ঘোষণা করে কার্যাদেশ প্রদান করায় ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮৫৯ টাকা।

এমআরপির চেয়ে অধিক মূল্যে মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল সামগ্রী ক্রয়

উত্পাদনকারী কোম্পানির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের (এমআরপি) চেয়ে অধিক মূল্যে মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল সামগ্রী ক্রয় করায় সরকারের ১ কোটি ৪১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪০ টাকা ক্ষতির ঘটনাটি ঘটেছে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। 

অভিযোগের বিষয়ে সংসদে উপস্থাপিত অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে, এমআরপির চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিগুণেরও বেশি মূল্যে সামগ্রী কেনা হয়েছে। কিন্তু, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২০২১ সালের ২৫ মার্চের নির্দেশনায় বলা ছিল, এমআরপির ঊর্ধ্বে কেনা যাবে না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের জবাব গ্রহণযোগ্য হয়নি অডিট অধিদপ্তরের কাছে। যার কারণে, ক্ষতির অর্থ আদায় করে সরকারের কোষাগারে জমার পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে অডিট অধিদপ্তর।

অস্বাভাবিক উচ্চমূল্যে মেডিক্যাল ও সার্জিক্যালসামগ্রী কেনায় ক্ষতি ৭,৫৩,৪৫,১৮৬ টাকা

অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্যে মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল সামগ্রী কেনায় সরকারের ৭ কোটি ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৮৬ টাকা ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে ১৪টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এগুলো হলো- খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।

অভিযোগের বিষয়ে সংসদে উপস্থাপিত অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাজার মূল্যের চেয়ে ২ থেকে ৮ গুণ বেশি মূল্যে সামগ্রী কেনা হয়েছে। এক্ষেত্রেও কর্তৃপক্ষের জবাবকে মান্যতা দেয়নি অডিট অধিদপ্তর। ক্ষতির অর্থ আদায়ের পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

গজ ও ব্যান্ডেজ কম সরবরাহ নিয়ে ১,৩১,৮১,৫০০ টাকা লোপাট

স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী গজ ও ব্যান্ডেজ সরবরাহ না নিয়েই এবং পরিমাণে কম সরবরাহ নিয়ে ১ কোটি ৩১ লাখ ৮১ হাজার ৫০০ টাকা লোপাটের ঘটনাটি ঘটেছে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ১৮ ইঞ্চি বহর ও ১৮ গজ দীর্ঘ থান (সার্জিক্যাল ব্যান্ডেজ) কেনার জন্য ‘মেসার্স সোনাম ফার্মা’ ও ‘মেসার্স নুরাইজ ফার্মা’-কে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, সরবরাহকারীর কাছ থেকে সার্জিক্যাল গজ ও ব্যান্ডেজ গ্রহণ করা হয়েছে যথাক্রমে ৯ গজ ও ৮ গজ। অভিযোগের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের জবাব গৃহীত হয়নি অডিট অধিদপ্তরের কাছে।

যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করে ফেলে রাখায় ক্ষতি ২,৬০,৮৬,৫০০ টাকা

ক্রয়কৃত মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি এবং সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরেজ ডিপট (সিএমএসডি) কর্তৃক প্রদত্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করে প্যাকেটজাত অবস্থায় ফেলে রাখায় সরকারের ২ কোটি ৬০ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও চারটি ডায়ালাইসিস মেশিন এবং একটি আপার জিআই এন্ডোসকপি অ্যান্ড কোলনস্কপি মেশিন কেনা বাবদ ‘ওয়ার্সি সার্জিক্যাল’-কে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।

কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদারের কাছ থেকে ওষুধ ক্রয়

সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদারের কাছ থেকে যোগসাজশ করে ওষুধ কেনায় অনিয়মিত ভাবে ৫৪ লাখ ২১ হাজার ৩৭৮ টাকা ব্যয়ের ঘটনা ঘটে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

অডির্ট রিপোর্টে বলা হয়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘আর জেড এস এন্টারপ্রাইজ, শালগড়িয়া, পাবনা’-কে ২০২১ সালের ২৪ মে থেকে ২০২৩ সালের ২৩ মে পর্যন্ত দুই বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। কিন্তু, অল্প কিছুদিনের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিয়ে ৫৪ লাখ ২১ হাজার ৩৭৮ টাকার ওষুধ কেনা হয়েছে।

চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও যন্ত্রপাতি কেনায় ক্ষতি ১৫,৭৭,৯০,৭৩৪ টাকা

ব্যবহারের সামর্থ্য ও চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও চিকিত্সা যন্ত্রপাতি বাক্সবন্দি অবস্থায় ফেলে রাখায় ১৫ কোটি ৭৭ লাখ ৯০ হাজার ৭৩৪ টাকা ক্ষতি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে চারটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

অলীক বেতন-বিল বাবদ ৭১ লাখ ২৬ হাজার ২২৬ টাকা আত্মসাৎ

জালিয়াতির মাধ্যমে ক্যাশ সরকার কর্তৃক অলীক বেতন বিল বাবদ সরকারি কোষাগার থেকে ৭১ লাখ ২৬ হাজার ২২৬ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এ ব্যাপারে অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে, ক্যাশ সরকার আমিরুল ইসলাম ‘সিনিয়র স্টাফ নার্স’ নামে ভুয়া পদবি ব্যবহার করে সাতটি চেকের মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাৎ করে।

আরও সংবাদ পড়ুন।

২৩৯ কোটি নয়ছয় বিএসএমএমইউতে

আরও সংবাদ পড়ুন।

মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না – হাইকোর্ট

আরও সংবাদ পড়ুন।

দরিদ্রদের জন্য চিকিৎসাসেবা আরো সহজ করার উপর জোর দিয়েছেন – রাষ্ট্রপতি

আরও সংবাদ পড়ুন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনিয়মের অভিযোগে – দুদকের অভিযান

আরও সংবাদ পড়ুন।

সারাদেশে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ – স্বাস্থ্যমন্ত্রী’র

আরও সংবাদ পড়ুন।

স্বাস্থ্য কার্ড আসছে; ঢাকা, গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলবে

আরও সংবাদ পড়ুন।

রাজধানী থেকে উপজেলায় স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতি – দেখবে কে?

আরও সংবাদ পড়ুন।

মেডিক্যালের প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত আরো পাঁচ ডাক্তার গ্রেপ্তার

আরও সংবাদ পড়ুন।

মেডিক্যালের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ডা. ইউনুস খান তারিম আটক

আরও সংবাদ পড়ুন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ জালিয়াতি – নিয়োগ কমিটির সভাপতি ও সাবেক পরিচালকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আরও সংবাদ পড়ুন।

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ৩৫ হাজার কোটি টাকা

আরও সংবাদ পড়ুন।

কমিউনিটি ক্লিনিকের বৈশ্বিক স্বীকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর সন্তোষ প্রকাশ

আরও সংবাদ পড়ুন।

ডাক্তারা অপ্রয়োজনীয় টেস্ট দিয়ে রোগী হয়রানি করবেন না – রাষ্ট্রপতি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top