আসছে ঘূর্ণিঝড়‘রেমাল’- পানি উন্নয়ন বোর্ডে কন্ট্রোল রুম চালু, সবার ছুটি বাতিল

Picsart_24-04-12_17-23-33-708.jpg

বিশেষ প্রতিবেদকঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ থেকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ সম্পর্কিত জরুরি তথ্য সংগ্রহ এবং বিতরণের জন্য ‘কন্ট্রোল রুম’ খুলেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।  

শুক্রবার (২৪ মে ২০২৪) বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে রয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বড়ুয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনার তৈরি হয়েছে। সেজন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গ্রীন রোডের পানি ভবনের লেভেল-২ এবং কক্ষ নম্বর ২১৪ এ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যার কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলবে। এর সার্বিক দায়িত্বে থাকবেন দপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বড়ুয়া।

এতে আরও জানানো হয়, কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা থেকে হতে সার্বক্ষণিক ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, পূর্বাভাস ও জলোচ্ছ্বাস সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির মাঠ পর্যায়ের দপ্তর থেকে উপকূলীয় বাঁধ, পোল্ডার ইত্যাদির ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ সংগ্রহ করা হবে।

সেজন্য মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা ও নির্বাহী প্রকৌশলীদের ঘূর্ণিঝড়ের সময় জরুরি তথ্য ই-মেইল বা ফোনের মাধ্যমে কন্ট্রোল রুমে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কন্ট্রোল রুমের টেলিফোন নম্বর হচ্ছে — ০২-২২২২৩০০৭০, মুঠোফোন নম্বর হচ্ছে — ০১৭৬৫৪০৫৫৭৬, ০১৫৫৯৭২৮১৫৮। তথ্য পাঠানোর ই-মেইল ঠিকানা হচ্ছে — ffwcbwdb@gmail.com, ffwc05@yahoo.com

একইসঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এই দপ্তরের সব কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সব ধরণের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়াবিদরা বলছেন অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। তবে এটি জোয়ার-ভাটার ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল।

আজ শনিবার(২৫ মে ২০২৪) সচিবালয়ে ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতির জরুরি সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তা আজ দিবাগত ভোররাত থেকে সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এতে সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকা আক্রান্ত হতে পারে। প্লাবিত হতে পারে ব্যাপক এলাকা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ শনিবার রাত ১২টার পর থেকে সিরিয়াস পর্যায়ে যেতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও চার হাজার উপকূলীয় আশ্রয়কেন্দ্র। ওয়ারলেসের মাধ্যমে সরাসরি ১৭৪টি মাঠ কার্যালয়কে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ডও প্রস্তুত থাকবে বলে দাবি করেছেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সব প্রস্তুতি সম্পন্ন।’ তথ্য বিনিময়ের লক্ষ্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এনডিআরসিসি খোলা থাকবে ২৪ ঘণ্টা।

আগামীকাল রোববার ভোর থেকে ঝড় আঘাত হানতে পারে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান জানান, আজ রাতের মধ্যেই উপকূলীয় অঞ্চলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেয়া হবে।

আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (০৬) এ বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি আজ শনিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।

আরও সংবাদ পড়ুন।

‘ঘূর্ণিঝড়’ ধেয়ে আসছে, সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা জারি

আরও সংবাদ পড়ুন।

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ তৈরি হতে পারে – আবহাওয়া অধিদপ্তর

আরও সংবাদ পড়ুন।

সারাদেশে ঝড়ের আভাস; বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে

আরও সংবাদ পড়ুন।

বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের আভাস; তাপমাত্রা কমতে পারে ৩ ডিগ্রি

আরও সংবাদ পড়ুন।

দেশ রক্ষায় নদী বাঁচানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আরও সংবাদ পড়ুন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top