একাকার – শাহানা সিরাজী
জমকালো গাড়ি আর ঝলমলে বাড়ি
এ দুটো চায় সবে মন্ত্রী কী এমপি!
গাড়ি চলে গাড়ি চলে বাড়ি চলে না
ঝলমলে বাড়ি তাই কথা বলে না!
কথা বলে কথা বলে কুঁজোবুড়ির না’
কুঁজোবুড়ি ফাঁকি দেয় টেক্স বোঝে না!
গাড়ি -বাড়ি সারি সারি টাকা- কড়ি নাই
টাকা-কড়ি ভিসা পেয়ে বাড়ি চিনে নাই
কোন দেশে গেছে উড়ে কোন পথ দিয়ে
কোন ব্যাংক ছিলো সাথে কোন তালা নিয়ে
ঘাটে ঘাটে বন্দরে চোখ বাঁধা অন্ধরে
দেখেও যে দেখে না রোখো তারে দ্বন্দ্ব রে!
বলি তারে শোনো কলি কেন চাও দেশমাটি
পকেটের কড়া ঘ্রাণ ভরে যায় মনঃপ্রাণ ইচ্ছায় দোপাটি!
আছো কে সাহসী দেবে মালা হরষি ইঁদুরের উৎপাত
মাটি কেটে চাল কেটে ডাল খেয়ে তাল খেয়ে
পিয়াজেই প্রাণপাত
পিয়াজের ঝাঁঝ বেশি
চোখেতে জ্বালা দেশী
আগুনে পুড়েছে খই
এতো দুঃখ কারে কই
বাঘ-সিংহ- হরিণ ওই
এক পাতেই খাচ্ছে দই
নদী খায়,বন খায়
ফসলি জমি খায়
পাহাড়ি টিলা খায়
জলাশয় খাল খায়
এতো খায় এতো দায়
কারো নেই কোন দায়
দায়ে বসে ভাবে দাদা
চুল কেন হলো সাদা!
মিছিলের পিছনে খায় তারা আগে
খেয়ে দেয়ে ফুলে ফেঁপে চলে ভাগে ভাগে
তুই খেলি আমি খাবো সে খেলো ও খাবে
কোটি নয় বিলিয়ন টাকা নয় ডলারে
জনতার কাতারে থাকে তারা ট্রলারে
চোখে ধুলো কত আর ভাবনার কাঁটাতার
ভেলকিতে সাঁড়াশি বয়সে আটাশি ভুল যার!
ওরে ও রঙিলা তোর মনের ভেতর এ কী রে!
কাজে এক কথায় আরেক মিলে না যে কোন টারে!
কথায় কথায় চলে সুটিং ঢলে পড়ে মামারে
সত্য নাকি অভিনয় সবাই বলে চাপারে!
আঙুলের কারসাজিতে মাটির এই বুক পুড়িতে
শব্দ-টুপ ওই সভাতে ইশারায় কী বোঝাতে
বাজে পায়ে সোনার নুপূর পুড়ে গেলো মধ্যদুপুর
মানুষের দ্বারে দ্বারে যায় তারা বারে বারে
আবার যদি খোলো দুয়ার আমি হব সেই যে তোমার
তুমি আমি দুজন মিলে হবো একাকার….
শাহানা সিরাজী
কবি,প্রাবন্ধিক ও কথা সাহিত্যিক।
আরও লেখা পড়ুন।
আরও লেখা পড়ুন।
আরও লেখা পড়ুন।