ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার পুলিশ রানীগঞ্জ বাজারের চৌমাথায় আবু তাহেরের ছেলের দোকানে ১০ লিটার, শাজাহানের দোকান থেকে ৫ লিটার ও বাজারের ভেতর আবুর দোকান থেকে ৫ লিটার তেল নিয়েছে। তারা প্রতি মাসেই রানীগঞ্জ বাজার থেকে তেল নিয়ে যায়। কেন নিয়ে যায়! উত্তর নেই পুলিশের!
সাগর চৌধুরীঃ ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের রানীগঞ্জ বাজারে; বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ চাঁদাবাজি করছে। শত শত মানুষের সামনে গিয়ে জ্বালানি তেল নিয়ে আসছে বীরদর্পে। আইনশৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে যারা আছেন, তারাই করেন দিন দুপুরে চাঁদাবাজি করছেন। অসহায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভয়ে মুখ খোলে না।
রানীগঞ্জ বাজারের মুদি ও মনোহারি দোকানে গিয়ে থানার গাড়ি চালানোর জন্য তেলের দরকার বলে, তেল চায় থানা পুলিশ। তাই সাধারণ দোকান মালিকদের ভয় ভীতি দেখিয়ে নগদ অর্থ অথবা গাড়ি চালানোর জন্য তেল চাইছে বোরহানউদ্দিন পুলিশ।
পুলিশের চাঁদাবাজি সম্পর্কে ভুক্তভোগীরা নাম প্রকাশ না করে বলেন, পরবর্তীতে পুলিশ নানা রকম হয়রানী করতে পারে। সমুহ বিপদের আশঙ্কায় নিরবে কাঁদছে। কিন্তু এর আগেও বোরহানউদ্দিন থানার পুলিশ নানা ছল ছুতায় চাঁদাবাজি করছে এখানে। একাধিক জন তেল ও টাকার বিষয়ে গণমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন।
বোরহানউদ্দিন থানার টহল গাড়ী আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর ২০২৩) সকালে রানীগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন দোকানে যায় এবং প্রথমে থানার গাড়ি চালানোর জন্য তেল চায়। কিন্তু তেল দিতে দোকানদারা না পারলে নগদ টাকা চায় পুলিশ।
পুলিশের টহল গাড়ির ড্রাইভার সাইফুল, ডিউটি অফিসার ছিলেন, এস আই আলমাস এবং তাদের সঙ্গীয় ফোর্স। তারা রানীগঞ্জ বাজারের চৌমাথায় আবু তাহেরের ছেলের দোকানে ১০ লিটার, শাজাহানের দোকান থেকে ৫ লিটার ও বাজারের ভেতরের আবুর দোকান থেকে ৫ লিটার তেল নিয়েছে। তারা প্রতি মাসেই রানীগঞ্জ বাজার থেকে তেল নিয়ে যায়। কেন তেল নিয় যায় পুলিশ? প্রশ্ন স্থানীয় সচেতন মহলের?
পুলিশের এমন চাঁদাবাজিতে লজ্জিত বাংলাদেশ পুলিশ পরিবার। যা রোধকল্পে জেলা পুলিশ সুপারকে একাধিক বার জানিয়েও ফলাফল শূন্য।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে এস আই আলমাস বলেন, আপনি ড্রাইবার সাইফুলের সাথে যোগাযোগ করেন।
ওদিকে, বোরহানউদ্দিন থানার গাড়ির ড্রাইভার সাইফুল বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশেই তেল এনেছি।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি শাহিন ফকির বলেন, আপনার কাছে অভিযোগের বিষয়ে শুনেছি আমি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নিব।
তবে, বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের সচেতন মহল বলেন, পুলিশের চাঁদাবাজি বাজী থামছে না। জেলার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ।
ভোলা জেলার পুলিশ সুপারের বক্তব্য জানতে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
অপর পক্ষে, ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহিদুজ্জামান বিপিএম আজ বিকেলে এই প্রতিবেদকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। তিনি ঘটনা বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এভাবে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাবে। তাছাড়া এলাকার মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে৷
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
বরিশাল ও সিলেটের পুলিশের দুই ডিআইজি সহ এক ডিসি ৫ এসপি প্রত্যাহার – ইসি