বোরহানউদ্দিনে এলাহি কান্ড; ফেয়ারওয়েল দিতে ৮০ হাজার টাকা চাঁদা

Picsart_23-06-03_22-47-43-840.jpg

বোরহানউদ্দিনে এলাহি কান্ড; ফেয়ারওয়েল দিতে ৮০ হাজার টাকা চাঁদা

সাগর চৌধুরীঃ ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার প্রথমিক শিক্ষা অফিসের সদ্য বিদায়ী একজন সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আমজাদ হোসেন। বোরহানউদ্দিন উপজেলার প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

স্কুলের প্রধানশিক্ষক ও স্কুল কমিটির সভাপতি’র সাথে অবৈধভাবে যোগসাজশ করে, স্কুল ও বাচ্চাদের জন্য বরাদ্দ এবং স্কুলে সরকারের বিভিন্ন কাজ না করেই বিল ভাউচারের মাধ্যমে সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকগণ, জমিদাতা ও সচেতন মহল।

মোঃ আমজাদ হোসেন সরকারি চাকুরী সূত্রে বদলী জনিত কারণে বোরহানউদ্দিন উপজেলা থেকে চরফ্যাশনে যোগদান করেছেন।

সরকারি চাকুরী বিধিমালায় একজন সরকারী চাকরিজীবির বিধি ও বিধান নিশ্চয়ই জানা আছে। তিনি কিভাবে যাবেন! কিভাবে তার বিদায়ী অনুষ্ঠান হবে?

বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মোঃ আমজাদ হোসেন এর বিদায়ী অনুষ্ঠানের জন্য এলাহী কান্ড ঘটছে! চাপাক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে স্থানীয় বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিভিন্ন সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে। (২৮মে ২০২৩) তিনি বদলী হয়ে চরফ্যাশনে যোগদান করেন।

৮০হাজার ৫০০শত টাকা মোঃ আমজাদ হোসেন এর বিদায়ী বাজেট। প্রতি সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে ৫০০ টাকা হারে চাঁদা তুলছে শিক্ষকদের মধ্যে একদল ইতর!

বোরহানউদ্দিন উপজেলায় সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়
১৬১টি। প্রতিটি স্কুল থেকে ৫০০টাকা চাঁদা হারে তুলে ৮০হাজার ৫০০টাকা জমা করেছে। শিক্ষকদের মত দেখতে; একদল রক্তচোষা শিক্ষক।

“শুনেছি কাক কাকের মাংস খায় না। কিন্তু বোরহানউদ্দিন উপজেলায় শিক্ষকরা শিক্ষকদের রক্ত চুষে খাচ্ছে” অভিযোগ করেন, ভুক্তভোগী একাধিক শিক্ষকরা।

একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, সামান্য বেতন দিয়ে সংসার চালানো মুশকিল তার উপরে চাঁদা দিতে হচ্ছে। তাছাড়া আবার তারা নিজেরাই বলে দিচ্ছে, সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে ৫০০ টাকা সমন্বয় করে নিতে। যা সরকারের বিধান মতে দন্ডনীয় অপরাধ।

বোরহানউদ্দিন উপজেলার একজন সরকারি কর্মচারীর জন্য এত টাকা খরচ করে ফেয়ারওয়েল? এতগুলো অভিযোগ যার বিরুদ্ধে!

প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে প্রধান শিক্ষকদের আবেদন, ফেয়ারওয়েল দেয়ার নাম করে এমন চাঁদাবাজি বন্ধ হোক। শিক্ষকরা সততার সাথে দায়িত্ব পালন করুক।

অভিযুক্ত ব্যাক্তি মোঃ আমজাদ হোসেন ও অভিযোগের বিষয়, স্কুলের প্রধানশিক্ষক ও স্কুল কমিটির সভাপতি’র সাথে অবৈধভাবে যোগসাজশ করে, স্কুল ও বাচ্চাদের জন্য সরকারি বরাদ্দ এবং স্কুলে সরকারের বিভিন্ন কাজ না করেই বিল ভাউচারের মাধ্যমে সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ তদন্ত হোক।

আরও সংবাদ পড়ুন।

বোরহানউদ্দিনে উত্তর কুড়ালিয়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়টি বন্ধ; সরকারের বরাদ্দ আত্মসাৎ

আরও সংবাদ পড়ুন।

আরও সংবাদ পড়ুন।

গ্রেড উন্নয়ন ও পদোন্নতি চায় সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তারা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top