বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

Picsart_23-06-06_22-23-51-251.jpg

বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

 বাসস   

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশ-ভারত দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

তিনি বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা উচিত। সফররত ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে আজ সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শেখ হাসিনা তার সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট) স্থাপনের কথা উল্লেখ করে বলেন, পারস্পরিক কল্যাণে এখানে দুই দেশের মধ্যে কর্মকা- বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার, সেনাবাহিনী ও সেদেশের জনগণের সমর্থন ও ভূমিকার কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী দারিদ্র্যকে প্রধান শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “দারিদ্র্য এই অঞ্চলের জনগণের প্রধান শত্রু এবং এই অঞ্চলের দেশগুলিকে দারিদ্র্য দূর করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।” তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিরাজ করছে। এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশকে অধিক জনসংখ্যার দেশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও সম্পদ সীমিত থাকা সত্ত্বেও দেশটিকে আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে।

বৈঠককালে ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্প খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা খুব ভালোভাবে এগিয়ে চলেছে। জেনারেল মনোজ পান্ডে এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে বলেন, আগামী দিনেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতীয় সেনাপ্রধান পারস্পরিক সুবিধার জন্য এই সুযোগগুলিকে কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। জেনারেল মনোজ পান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে, তিনি চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছেন।

এ সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

আরও সংবাদ পড়ুন।

আওয়ামী লীগের কার্যালয় উদ্বোধন করলেন – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আরও সংবাদ পড়ুন।

শিক্ষার জন্য মুসলিম উম্মাহর প্রতি আরও বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আরও সংবাদ পড়ুন।

জুলিও-কুরি শান্তি পুরস্কার ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার – প্রধানমন্ত্রী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top