র্যাব ডিজি এম খুরশীদ হোসেন এর চাকরির মেয়াদ বাড়ছে
সাগর চৌধুরীঃ সামনের একবছর সরকারি চাকরির মেয়াদ বাড়িয়ে র্যাব মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্বে রাখা হচ্ছে অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেনকে।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের এমন সিদ্ধান্তের পর সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী আগামী ৪ জুন সরকারি চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে খুরশীদ হোসেনের।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গনমাধ্যমে জানিয়েছে, খুরশীদ হোসেনের চাকরির মেয়াদ একবছর বাড়িয়ে স্বপদে বহাল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন মিলেছে। এরইমধ্যে র্যাব মহাপরিচালকের মেয়াদ বাড়াতে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র প্রস্তুত করেছে। চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করার কথা রয়েছে।
২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর র্যাবের নবম মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান খুরশীদ হোসেন। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি পান। চাকরি জীবনে ডিএমপির বেশ কয়েকটি পদে চাকরি করেছেন এম খুরশীদ হোসেন।
বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১২তম (পুলিশ) ব্যাচে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন খুরশীদ হোসেন। সর্বশেষ তিনি পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
মেধাবী ও চৌকস পুলিশ অফিসার হিসেবে পরিচিতি এম খুরশীদ হোসেনের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি দুইবার পুলিশের সর্বোচ্চ পদক ‘বিপিএম’ এবং একবার ‘পিপিএম’ পেয়েছেন।
খুরশীদ হোসেন নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার তদারকি কর্মকর্তা ছিলেন। সেসময় খুরশীদ হোসেন আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে গ্রেপ্তার করেছিলেন। র্যাবপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর খুরশীদ হোসেন অনেক কাজে সফল ও প্রশংসিত হয়েছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য_ নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার’ সন্ধান এবং তাদের মূলোৎপাটন, সিরাজগঞ্জে ৩২৩ জন সর্বহারা দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন।
সাধারণ মানুষের সেবায় সব সময় র্যাবের সহযোগিতা সহজ করার জন্য নিরলস চেষ্টা করছেন এম খুরশীদ হোসেন। সম্প্রতি গনমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘র্যাব এলিট ফোর্স। সমস্ত বাহিনী থেকে চৌকস সদস্যদের নিয়ে র্যাব গঠন করা হয়েছে। র্যাবের মূলমন্ত্র হলো বাংলাদেশ আমার অহংকার। এই মূলমন্ত্র আমরা ধারণ করি, লালন করি, পালন করি।’
‘আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করি। এজন্য র্যাবের প্রতি মানুষের আস্থা, ভালোবাসা এবং মানুষ র্যাবকে নিরাপত্তার প্রতীক মনে করে। আমরা অপশক্তি, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে আতঙ্কের প্রতীক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাই।’
র্যাবকে নিয়ে তার পরিকল্পনা তুলে ধরে র্যাব ডিজি বলেন, ‘আমি এই বাহিনীকে আরও স্মার্ট বাহিনী হিসেবে কাজ করছি। কারণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কাজ করছেন। আমি চাই, র্যাব স্মার্ট বাহিনী হিসেবে কাজ করবে।’
‘আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, র্যাবের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে। আমরা আইনের মধ্যে থেকে মানুষের পাশে থাকি, র্যাব বেআইনি কোনো কাজ করে না। এজন্যই মনে করি র্যাব ভালো কাজ করছে।’
খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘পুলিশি কর্মজীবনে জেলার পুলিশ সুপার, ডিআইজি বা যে পদেই কাজ করেছি, যারাই আমার কাছে বিপদে এসেছে তাদেরকে আমি ফেরত দেইনি। পাবলিক হেয়ারিংটা আমি নিজে দেখেছি। একটা মানুষ অনেক দূর থেকে আশা করে আসে। তাই অন্তত তার সমস্যাটা শুনি।’
‘কারণ, আমার অফিস, ডিসির অফিস, এসপির অফিস এগুলো পাবলিক অফিস। আমরা তো জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেকথা প্রায় বলেন, আমরা শাসক হতে চাই না, সেবক হতে চাই।’
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আমি ব্যক্তিগতভাবে বলব র্যাব সংস্কারের কোনো প্রশ্নই দেখি না – র্যাব ডিজি এম খুরশীদ হোসেন