ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদ মারা গেছেন
বিশেষ রিপোর্টঃ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক এবং কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদ (৫৩) মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি মারা যান।
লেখক মুশতাক আহমেদ বর্তমান সরকারের গণবিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডের একজন সমালোচক ছিলেন। আর এটি প্রতিভাবান এ লেখকের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। সরকারের রোষানলে পড়ে এ লেখককে কারাবন্দীত্ব বরণ করতে হয়।
র্যাবের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত বছরের মে মাস থেকে কারাবন্দী মুশতাক গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। কারা সূত্রমতে, মুশতাক আহমেদ কারাগারে মাথা ঘুরে পড়ে যান। হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বছরের ১১ জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদ এবং রাষ্ট্রচিন্তার কর্মী দিদারুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
গত বছরের মে মাসে রমনা থানায় মুশতাকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে র্যাব তিনটি মামলা করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জাতির জনক, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, মহামারি করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, তারা রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধ করেছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, মুশতাক আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আই অ্যাম বাংলাদেশি (ইংরেজি হরফে লেখা) নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট, মহামারি করোনা, সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন দিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির’ অভিযোগ আনা হয়েছিল।
এজাহারে র্যাব দাবি করে- মুশতাক আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদে দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া ও মিনহাজ মান্নানের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
অবশ্য গত সেপ্টেম্বরে এই মামলায় গ্রেপ্তার মিনহাজ মান্নান ও দিদারুল ভূঁইয়া জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু কার্টুনিস্ট কিশোর ও লেখক মুশতাকের জামিন হয়নি। মোট ছয় বার মুশতাকের জামিন আবেদন নাকচ হয়।