প্রভাত পরী
মোঃ আঃ কুদদূস
সকালের সোনালী রোদের আভায়
পূব জানালার পাশে
শুয়ে ছিল এক মায়াবী নীলপরী,পরনে
তার শুভ্র বসন
তাজা প্রেমমাখা সেই নীলপরীর মুখে
যেন মোনালিসার হাসি
সে হাসিতে কি লুকিয়েছে-সুখ না দুঃখ,
বুঝা বড়ই কঠিন।
কচুপাতার পানির মতই পরী, একদম
স্বচ্ছ, টলটলে, অস্থির
যেন ছুঁইতে গেলেই-পড়ে গিয়ে নিমিষে,
বিলীন হবে ইন্দ্রলোকে।
সেদিকে নিষ্পলক নিরবে নিবদ্ধ হয়ে থাকে
আমার তৃষ্ণার্ত চাহনি
সেই সোনাখচিত অপূর্ব মুখে- সোনাঝড়া
সকালের স্বর্ণময় মুহূর্তে
সাধ জাগে, বাৎসল্যের অকৃত্রিম আলতো
স্পর্শে জাগিয়ে তুলি-
একমুঠো রোদ আর নানান প্রতিশ্রুতির
স্নেহমাখা ছোঁয়ায়,
মর্ত্যের মনোরমা মহিয়সী সেই অসাধারণ
প্রীতিমাখা মুখকে।
একটি ছোট্ট মুখে এত শত ভালো লাগা
কিভাবে জড়িয়ে থাকে?
ধরার বুকে কেউ না জানলেও দিবামণি
তা ঠিকই বুঝছে,
তাই তো সঙ্গোপনে স্বমহিমায় সে স্বীয়
সখ্যতা খুঁজে পেয়েছে।
আমি বুঝেছি, আমি বুঝেছি, সূর্য সত্যিই
বড় শক্তিধর সৃষ্টি
তা না হলে এত মুখের ভীড়ে সেই স্নেহমাখা
মুখ কেন তার দখলে?
অথচ, আমি কাতরাচ্ছি দর্শনে তার ব্যর্থ-
শঙ্খনীল চিল হয়ে।
এমনি প্রভাতে পরী হয়ে কবে উড়ে উড়ে
ডানা ঝাপটাবে তুমি?
সেই ডানার আশ্রয়ে মুখ গুঁজে সুরক্ষিত
দূর্গের সতত সন্ধানে-
নিঃস্ব কবির কলমে সপ্রতিভ হয়ে উঠবে-
প্রভাত পরীই তার কবিতা।
৩০ জুলাই ২০১৮
অমিল মুক্তক ছন্দ