জম্মভূমি
মোঃ আঃ কুদদূস
প্রিয়তম জম্মভূমি,
মমতার চাদরে জড়ানো এপিটাফ,
মম ভরসার অকৃত্রিম বেসাতি তুমি,
উর্বরতায় পরিপূর্ণ।
যখন বিদীর্ণ হয় চৈত্রের মাঠ
তখন অনাকাঙ্ক্ষিত অপেক্ষার প্রহর গুনি-
কবে আসবে ঘন কালো মেঘের গর্জন,
কিম্বা কাল বৈশাখীর প্রচন্ড তান্ডব?
আর সবকিছু প্রলয়ের হুঙ্কারে-
তছনছ হয়ে বিরাণ ভূমিতে পরিণত হবে।
এরপর-
নতুন ভূমে নতুন দিনে নতুন করে
নতুন অঙ্কুরোদগম।
প্রত্যাশার অফুরন্ত দ্বার উম্মোচন করে-
সৃষ্টি হয় সোনালী ফসলে ভরা দিগন্ত,
সবুজ শ্যামলিমার অপূর্ব সমারোহ।
বাড়ির প্রান্তর পূর্ণ হয় মৌ মৌ গন্ধে,
প্রিয়জনের মুখে নজরকাড়া হাসি,
গোলা ভরা ধান-
নবান্নের উৎসবে মুখরিত পল্লী।
অতঃপর-
প্রকৃতির বৈরিতা,
নতুন করে ধ্বংসের হাতছানি।
চারদিকে অশনী সংকেত-
আবার শুরু ভাঙার গান।
মুহুর্মুহু গুলির শব্দের মত
বজ্রপাতের প্রচন্ড ঝাকুনিতে কেঁপে ওঠে দেশ।
ভয়াল এপ্রিলের চোখ রাঙানি,
রূক্ষতার চরমপত্র,
নতুন সমাধি গড়ার করুণ আয়োজন।
পরিশেষে-
প্রত্যাশার বীজ বুনি,
শরতের কাশফুলে হাওয়ার তানে-
আবার আসিবে ফিরে এই বাংলায়
হেমন্তের পিঠে পায়েসের মহোৎসব।
এই তো ভাঙা গড়ার খেলা।
হাজার বছর ধরে চলছে প্রিয় বাংলাদেশ-
প্রিয় মানুষের হাসি কান্নায়।
এভাবেই জীবনের অসমাপ্ত গল্প-
এখানে শেষ হয় না কোনদিন।