আইজিপির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বঙ্গবাজারে অগ্নিনির্বাপন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করেছে দুই সহস্রাধিক পুলিশ।
সাগর চৌধুরীঃ ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অগ্নিনির্বাপন এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রত্যক্ষভাবে তত্ত্বাবধান করেছেন। ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপিগণ এবং অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবাজারে আজ (০৪ এপ্রিল ২০২৩) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে । আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন । তাঁরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অগ্নিনির্বাপন কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারক, অগ্নিনির্বাপন কাজে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান এবং সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তত্ত্বাবধান করেন।
পরে আজ বিকালে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আইজিপি বলেন, অগ্নিনির্বাপন কাজে সকল পুলিশ অফিসার, প্রায় দুই হাজার ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা সবাই মিলে দায়িত্ব পালন করেছি। ফায়ার সার্ভিস অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখানে দায়িত্ব পালন করেছে।
তিনি বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের একটি পাঁচতলা ভবনে আগুন লেগেছে। এখান থেকে আমরা পুলিশ সদস্যদের নিরাপদে বের করে আনতে পেরেছি। কিন্তু মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা যায়নি।
অগ্নিকাণ্ডের পর মার্কেটের ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোকানের মালামাল বের করে আনতে পারে এবং কোন মালামাল যাতে খোয়া না যায় সেজন্য পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করেছে । ঘটনাস্থলের আশপাশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, বঙ্গবাজারে আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের সহযোগিতায় অগ্নিনির্বাপন কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের সাথে ডিএমপির ৫টি ওয়াটার ক্যানন অগ্নিনির্বাপন কাজে অংশগ্রহণ করেছে। ফায়ার সার্ভিস অগ্নিনির্বাপনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের রিজার্ভারের প্রায় ২ লক্ষ লিটার পানি এবং ফায়ার বল ব্যবহার করেছে।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
ডিএমপি ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছে – স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল