ক্ষমা চাইলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ভবনে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক নারী। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিন্ডা রেনল্ডসের দপ্তরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী অভিযোগ করেন ২০১৯ সালে প্রতিরক্ষা শিল্প মন্ত্রী লিন্ডা রেনল্ডসের অফিসে ধর্ষণের শিকার হন তিনি। কাজ শেষে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে পার্লামেন্টের অফিসে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় তাকে। ২০১৯ সালে ওই নারীর বয়স ছিল ২৪ বছর।
ওই নারী বলেন, যে কক্ষে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়, সেখানেই মন্ত্রী তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। এটি তাঁর জন্য মানসিক কষ্টকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। ধর্ষণকারী ক্ষমতাসীন দলের একজন উদীয়মান নেতা ছিলেন। এ ঘটনার পর ওই নারী মরিসনের লিবারেল পার্টির আরেক মন্ত্রীর কার্যালয়ে কাজ করেন। পরে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেন।
এ ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দেয়ার পাশাপাশি সংসদে কাজের পরিবেশ কতটা নিরাপদ তা-ও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রিটানির অভিযোগে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। এ ঘটনার পর পার্লামেন্টের পরিবেশ ও সংস্কৃতি পর্যালোচনা করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার ক্যানবেরায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করি ব্রিটানির অভিযোগ আমাদের জাগিয়ে তুলবে।’