আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে পছন্দের শীর্ষে আলহাজ্ব সাদেক খান

PicsArt_10-30-03.42.09.jpg

ঢাকা মহানগর-উত্তর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে পছন্দের শীর্ষে আলহাজ্ব সাদেক খান

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশের ইতিহাসে টানা তিন তিন বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের
আগেই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা।

সারাদেশের মত রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করর্পোরেশনেও এই ধারাবাহিকতায় সাধারন মানুষের প্রশ্ন কে হচ্ছেন ঢাকা মহানগর-উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক?

এ নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলাপ আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে ইতোমধ্যেই।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক নেতারা দলীয় পদ ও পদবী নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনাও শুরু করছেন। তবে বিভিন্ন বিশ্লেষণের নিরিখেই নির্ধারন করা হবে চুড়ান্ত তালিকা।

তবে এ ক্ষেত্রে অনেকের নামও শুনতে পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে কেউ কেউ নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন ভিন্ন ভিন্ন ভাবে।

তবে নেতা কর্মি ও দলের পছন্দের শীর্ষে আছেন বর্তমান ঢাকা মহানগর-উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মোঃ সাদেক খান এমপি।

কে এই সাদেক খান? রাজনীতিবিদ ও এলাকাবাসী সাথে আলাপ করে জানা গেছে, আলাহাজ্ব মোঃ সাদেক খানের রাজনৈতিক জীবনের উত্থান মোহাম্মদপুর এলাকা থেকেই।শিক্ষা জীবনে তিনি রাজনীতির সাথে যুক্ত হন।বর্তমানে ঢাকা মহানগর-উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে বিএ (সম্মান) ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৭ সালে মোঃ সাদেক খান অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সর্ব কনিষ্ঠ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তৎকালীন ৪৭ নং ওয়ার্ড ও বর্তমান ৩৪ নং ওয়ার্ড থেকে ৪ বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সালে ২ বার ভারপ্রাপ্ত মেয়রেরও দায়িত্ব পালন করেন। মোঃ সাদেক খান শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলরেরও পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি ৪৭ নং ওয়ার্ড ও ১৯৯৬-১৫ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

চারদলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি একাধিকবার রাজনৈতিক মামলার আসামি হন। রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থান নির্মাণে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিরলস ভাবে কাজ করেন মোঃ সাদেক খান। শেখ হাসিনা কারাবন্দি হলে তার মুক্তির দাবিতে চার লাখ পঞ্চাশ হাজার গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন এবং শেখ জামালের স্কুল জীবনের সাথী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুও খান পরিবারের বাড়িতে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনে আসা-যাওয়া করেছেন। ১৯৭৭ সাল থেকে আজ অবধি সব ধরনের উন্নয়নমূলক কাজে মোঃ সাদেক খান অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়। এর ৩ বছর পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে দু’ভাগে বিভক্ত করা হয়।

২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণ, ৪৫টি থানা এবং ১০০টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নগুলোর সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের তখনকার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এরপরেই ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তরে আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয় একেএম রহমতুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় সাদেক খানকে।

দক্ষিণের সভাপতি হন হাজী আবুল হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।

তবে নেতা কর্মি ও দলের পছন্দের শীর্ষে থাকা বর্তমান ঢাকা মহানগর-উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ সাদেক খানকেই যোগ্য বলে মনে করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top