উপসচিব নাসির-উদ-দৌলার ঘুষ কেলেঙ্কারীর অডিও ফাঁস!

PicsArt_10-30-05.55.58.jpg

উপসচিব নাসির-উদ-দৌলার ঘুষ কেলেঙ্কারীর অডিও ফাঁস!

স্টাফ রিপোর্টঃ

>>৮ লাখ টাকায় প্রতিবেদন অভিযুক্তে পক্ষে!
>> কাজ করেননি টাকা ফেরত দেন: অভিযোগকারী
>> বদলী হয়ে যাওয়ার পরও কাজ করে দেয়ার আশ্বাস

রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত শেখ ফকির মাহমুদ ওয়াকফ এস্টেটের দুর্নীতি তদন্ত করতে গিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা নাসির-উদ-দৌলা সাড়ে ১১ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। অভিযুক্ত মোতোওয়ালী আলমগীর সিদ্দিকের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা ও বাদী সাহিদ ভাষানীর কাছ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন। বেশি টাকা দেয়ার জন্য অভিযুক্তের পক্ষে প্রতিবেদন দিয়েছেন নাসির-উদ-দৌলা। ওই সময় নাসির-উদ-দৌলা ওয়াকফ প্রশাসনে সহকারী প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। এরই মধ্যে তিনি উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে বদলী হয়েছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে।

ঘুষ লেন-দেনের বিষয়ে বেশ কয়েক দফায় দেন দরবার হয় বাদির ভাতিজা শফিকুল ইসলাম তরন এবং উপসচিব নাসিরের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে ধর্মসচিব এবং ওয়াকফ প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন সাহিদ ভাষানী। এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত অডিও রেকর্ড গণমাধ্যমে এসেছে। এর মধ্যে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯ টা ৩৪ মিনিটে নাসির এবং ঘুষ দেওয়ার ব্যক্তির মধ্যে ১১ মিনিট ১৫ সেকেন্ড কথা হয়। এর চুম্বুক অংশ হলো-
তরন: আমার টাকাটা দিয়ে দেন।

নাসির: আমার কাছে এখন এক টাকাও নাই।

তরন: আমি আপনাকে প্রমাণ দিতে পারি আপনি ওর (মোতোওয়ালী) থেকে ৮ লাখ টাকা নিয়েছেন। আমার টাকাটা স্যার ফেরত দিয়া দেন।

নাসির: এগুলো বলেন কেন? সাখাওয়াতের (দন্ত কমিটির সদস্য) কথা শুনে এগুলো বলেন। শাখাওয়াত তো বদমাইশ।

তরন: আগে ভাল ছিল। এখন বদমাইশ
বললে হবে? আপনি কি আমার টাকাটা দিবেন, নাকি দিবেন না?

নাসির: কেন দিব না?

তরন: তাহলে স্যার এই সপ্তাহের মধ্যে দেন।

নাসির: আমার কাছে টাকা নাই।

তরন: কাজের জন্য টাকা
নিয়েছেন। কাজ করেনি। টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। আমাকে উল্টো বুঝাচ্ছেন কেন? আমার সাথে এত ভাল সম্পর্ক। আপনাকে এত কিছু দিলাম। রিপোর্ট আপনি আমার বিপরীতে দিলেন কেন? রিপোর্টটা লিগ্যাল লিখলেন না কেন?

নাসির: আপনার কাজ হলেই তো হল।

তরন: কাজ তো পরের ব্যাপার। লিগ্যাল জিনিসটা না লিখা ওরে ছেড়ে দিলেন।

নাসির: আপনাকে আমি কাজ করে
দিলেই তো হলো।

তরন: আপনি বড় সাহেবের চাপে ওকে ছেড়ে দিলেন। আছমা জেরিন ঝুমুর চাপে ছেড়ে দিলেন। এতেই এত ভয় পেয়ে গেলেন।

নাসির: না, ভয়ের কিছু নাই। বাদ দেন তো
ওগুলো বাদ দেন। আপনি টাকা যদি চান আমি আপনাকে টাকা দিয়ে দেব। আর আপনার
মোতোয়ালী হলেই তো হলো।

তরন: আপনার জন্য এত কিছু করলাম, আপনাকে চোর ধরিয়ে দিলাম, রিপোর্ট চোরের পক্ষে দিয়া দিলেন টাকা পয়সা খেয়ে। এটা কিছু হল? আপনাকে আগেই….. চলবে….

ঘুষ কেলেঙ্কারির অডিও সহ সকল বিষয়ে উপসচিব নাসির উদ দৌলাকে মুঠোফোনে জানতো চাওয়া হলে সে সবকিছু অস্বীকার করে বলে এসব মিথ্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top