দুদক’কে আজ ৫টি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
সাগর চৌধুরীঃ রাজধানী’র খিলগাঁও -এ তিতাস গ্যাস-এর অনুমোদন ব্যতিরেকে অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদানের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক।
দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (টোল ফ্রি হটলাইন- ১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ হতে আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়। আজকের অভিযানে দুদক টিম অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। টিম জানতে পারে, প্রায় উক্ত এলাকায় তিতাস গ্যাসের অনুমোদন না থাকলেও প্রায় ৪০০ পরিবারের প্রত্যেকের নিকট হতে ৩০ হাজার হারে টাকা গ্রহণ করে তিতাস গ্যাসের কিছু অসাধু কর্মচারী এ অবৈধ সংযোগ সমূহ প্রদান করেছেন।
রাষ্ট্রীয় সম্পদের এ বিপুল অপচয়ের বিষয়ে অনুসন্ধানের অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে টিম।
এদিকে পাবনার বেড়া পৌর ভূমি অফিসে অভিযান পরিচালনা করে ব্যাপক অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুদক। জমি খারিজ করার জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ১১৭০ টাকা হলেও এক ভুক্তভোগীর নিকট হতে ২৫ শতাংশ জমি খারিজ করার জন্য ৫০০০ টাকা চাওয়া হয়েছে, দুদক হটলাইনে এরূপ অভিযোগ লিপিবদ্ধ হয়। তৎপ্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পাবনা’র সহকারী পরিচালক মোঃ আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম আজ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে দুদক টিম ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও উক্ত অফিসের অফিস সহকারী’র নিকট হতে ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ আদায়কৃত ৬০,২৭৬ টাকার অতিরিক্ত ১ লক্ষ ৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে, যার ব্যাখ্যা তাঁরা দিতে পারেননি। টিম এ অনিয়মের বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্তের জন্য কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সুবর্ণচর, নোয়াখালীতে ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক প্রধান সহকারী (বর্তমানে প্রধান সহকারী) এবং সাবেক মেডিসিন ক্যারিয়ার পর¯পর যোগসাজশে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, সুবর্ণচর শাখা, নোয়াখালীতে সরকারী টাকা স্থানান্তর করেছেন, দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে প্রাপ্ত এরূপ অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালী হতে আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে অভিযোগের বিষয়ে সাবেক প্রধান সহকারী আবু তাহেরকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান যে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সুবর্ণচরের বিভিন্ন বিলের টাকা তিনি সাবেক মেডিসিন ক্যারিয়ার মোঃ রুহুল আমিনের হিসাবে জমা রাখেন এবং পরবর্তীতে উক্ত টাকা হতে উত্তোলন করে বিল ভাউচার সমন্বয় করেন। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিজস্ব হিসাবে টাকা কেন টাকা জমা করা হয়নি তাঁরা এর সদুত্তর দিতে পারেননি। দুদক টিম সকল বিল ভাউচারের তথ্য সংগ্রহ করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।
এদিকে জলমহালের ইজারার সরকারি টাকা পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে এবং বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও ভিজিডির কার্ড প্রদানে অবৈধভাবে অর্থ আদায় ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনা হতে দু’টি পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।