তেতুলিয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন! প্রশ্নবিদ্ধ কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি

Picsart_24-11-12_17-20-22-341.jpg

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

তেতুলীয়া নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন! প্রশ্নবিদ্ধ কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন।

স্টাফ রিপোর্টঃ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেতুলিয়া নদীর হাসের চর এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে, ভূমি দস্যু ও বালু খেকোরা।

দিনে বেলায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসনের একাধিক অভিযান পরিচালনা করায় এখন রাতে বালু উত্তোলন করছে তারা।

ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন করায় গত বুধবার মফিজ নামক যুবককে ১ লাখ টাকা ও রবিবার দুপুরে মফিজ নামক যুবকের একই ড্রেজার মেশিন আটক করে ১ লাখ টাকাসহ ফাইজুল ইসলামের ড্রেজার মেশিন আটক করে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বোরহানউদ্দিন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মেহেদী হাসান পৃথকভাবে দুটি অভিযানে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মোট সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন।

ভূমি দস্যু ও বালু খেকোরা বলে বেড়ায়, ক্ষতিপুরন পুশিয়ে নিতে ২ দিন সময় লাগে। তা ঠিক উঠিয়ে নিব।

একাধিক জরিমানা করলেও থেমে নেই তাদের বালু উত্তোলন। সোমবার বিকাল ৫ টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত মোট ৯ টি লোড ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে বালু খেকোরা। ফলে হুমকির মুখে রয়েছে হাসের চর এলাকাসহ বিভিন্ন চরের শত-শত একর কৃষি জমি। দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। আতংকে হাজারো কৃষকেরা।

স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করেন, প্রতিরাতে বালু খেকোরা বালু উত্তোলন করে।

যদিও বাউল উপজেলার কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি থেকে বালু উত্তোলনের স্থানে দ্রুতগতির নৌযানে পৌছাতে মাত্র ১৫ মিনিটের পথ।

তার পরেও কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি’র কোন অভিযানের দেখা মেলেনি। তাহলে কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি’র পুলিশের কাজ কি? পুলিশ ফাঁড়িতে বসে থাকা?

আর মাসে মাসে বালু খেকোদের কাছ থেকে মাসোহারা নেয়া? নাকি নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা? এমন প্রশ্ন রয়েছে হাজারো কৃষকের।

গুঞ্জন রয়েছে বালু খেকোদের কাছ থেকে নিয়মিত উৎকোচ নেন কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ।
এতে প্রশ্নবিদ্ধ বাউফল উপজেলার কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।

কালাইয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গাজী সালাউদ্দিন বলেন, আমি এখানে জয়েন করেছি মাত্র একমাস হলো। আগের বিষয়ে কথা জানি না।

বরিশাল নৌ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার জানান,
কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান করব।

স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, তারা বিগতকয়েক দিন
কোষ্টগার্ডের কোন টহল দেখেন নি। ফলে প্রশ্নবিদ্ধ রয়েছে তাদের কর্মপরিধি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top