সুনীল অর্থনীতি সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবহার বৃদ্ধিতে অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র উন্মোচন করেছে : স্পিকার

Picsart_24-07-03_18-12-42-663.jpg

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

সুনীল অর্থনীতি সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবহার বৃদ্ধিতে অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র উন্মোচন করেছে : স্পিকার

 বাসস   

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্লু ইকোনমির গুরুত্ব অনেক বেশি।
আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে- ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ওশান প্রসপারিটি : ক্যাটালাইজিং ব্লু ইকোনমি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
স্পিকার বলেন, সুনীল অর্থনীতি আমাদের সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবহার বৃদ্ধিতে অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র উন্মোচন করেছে।

পরিকল্পনা কমিশনের জেনারেল ইকোনমিক্স ডিভিশনের সদস্য ড. মো. কাওসার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়াং বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুস সালাম এমপি ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার এমপি। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমুদ্র সম্পদের গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৭৩ সালে প্রথম সামুদ্রিক গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট’ প্রণয়ন করেছিলেন- যা ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের উপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছেন। সুতরাং সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের পাশাপাশি অতিরিক্ত মাছ ধরা নিয়ন্ত্রণ, সমুদ্র দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার মতো চ্যালেঞ্জ সামনে এসেছে।
তিনি বলেন, সুনীল অর্থনীতি খাতের সাফল্য পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের উপর নির্ভর করে।

সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, বেসরকারি খাত ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিলে একত্রে কাজ করলে সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব।
স্পিকার বলেন, সুনীল অর্থনীতির পরিপূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচনের জন্য গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ অপরিহার্য।

ড. শিরীন শারমিন আরো বলেন, ব্লু ইকোনমিতে বেসরকারি উদ্যোগ জ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে।
তিনি এ সময় এধরনের সম্মেলন আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

এ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, জেনারেল ইকোনমিক্স ডিভিশন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top