ডিএডি তানহারুল ইসলামের সম্পদের পাহাড়;ডিজি ও এডিজি’র নাম ভাঙ্গিয়েও নেন টাকা
অপরাধ প্রতিনিধিঃ বিএনপি আমলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল অধিদপ্তরে চাকুরী পাওয়া ডিএডি তানহারুল ইসলাম। তার বিভিন্ন অপকর্মের জন্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি উঠছে প্রশ্ন।
অভিযোগ রয়েছে, সে সিদ্দিক বাজার কর্মরত থাকা অবস্থায় সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চুরি হাট্টার আগুন ইচ্ছাকৃত ভাবে বড় করে। এতে ১১৯জন লোক মারা যায়।
নারায়ণগঞ্জ জোন ২ এর দায়িত্ব থাকাকালীন সময় তার অবহেলায় সেজানজুস ফ্যাক্টরীর ৪৭ জন লোক মারা যসয়। যার কারনে তাকে খুলনা বদলি করা হয়।
তিনি ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত কালে সাধারণ ট্রেইনারদের নিকট হতে বিভিন্ন অজুহাতে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। যার কারনে তাকে চুরির অপবাদ দিয়ে বদলি করা হয়। নিলজ্জ এই অফিসার ইপিজেডে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে টাকা পয়সার ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে স্টাফদের সাথে বিশৃংখলা হয় ও রাতারাতি সাবেক পরিচালক সালাম তাকে বদলি করেন।
সেই রাতে চোরের মত পালিয়ে আসেন। অবৈধ ভাবে নিয়োগ বানিজ্য, বদলি বানিজ্য করে করে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে অধিদপ্তরে সিন্ডিকেট ঘঠন করেছে। যার ফলে বদলি হয়ে গেলেও আবার চলে আসে।
রাজধানীর গুলশান খাজা টাওয়ারের আগুন বড় করে বেকায়দায় ফেলতে চেয়েছিলেন সরকারকে এই বিএনপি পন্থী অফিসার। কিন্তু সিনিয়র অফিসারদের উপস্থিতির কারনে পারেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
উত্তরা সাইদ টাওয়ারের আগুন অত্যন্ত দ্রুত গতিতে নির্বাপনের কারনে, উত্তরা ও টঙ্গি ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র এসও দের ব্যাপক গালিগালাজ করেন বলেও জানা গেছে।
রংপুরে তাট ৬তলা বাড়ি ও ঢাকা মিরপুরে ০২ টি ফ্লাট কিনেছে। ডাবল কেবিন গাড়ি শুধু মাত্র আগুনের কাজে ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ থাকলেও তিনি সারাদিন পারিবারিক ভাবে বাচ্চা স্কুলে আনা নেওয়া, সেফটি প্লান দালালি, বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের গাড়িতে নিয়ে ঘুরাঘুরি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আমাদের হাতে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি
তানহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য:
১। তেজগাঁও, মিরপুর, পল্লবী, মোহাম্মদপুর, কল্যানপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার গন মারাত্মক না খোস ডিএডি তানহারুল ইসলামের উপর।
২/ উক্ত এলাকার সেফটি প্লান প্রতিটি ২লক্ষ টাকার বিনিময়ে করেন।
৩/ এন ওসি ১লক্ষ টাকা তার রেট।
৪/সাবস্টেশন ৫০হতে ১লক্ষ রেটের বিনিময়ে করেন।
উল্লেখিত কাজগুলো কমিটির মাধ্যমে হয় যার সভাপতি ডিএডি তানহার, সদস্য একজন সিনিয়র এসও, একজন ইন্সপেক্টর তাদের কে ভাগ না দিয়ে তিনি একাই সব ভোগ করেন।
৫। সহকারী পরিচালক ঢাকাকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন টেন্ডার বানিজ্য নিয়ে কাজ করেন।
৬/নিয়োগ বানিজ্য তার অন্যতম পেশা।
৭/মোহাম্মদপুর ১৭০০বর্গফিুটের ফ্লাট আছে।
৮। বসিলায় ০৬ শতকের প্লট আছে।
৯/ দেশের বাড়ি রংপুর ৬ষ্ঠ তলা বাড়ি করেছেন।
নিজেকে সেরা ফায়ার ফাইটার-দাবি করেন প্রকৃতপক্ষে আসলে লোক দেখানো ভুয়া কর্মকর্তা।
ডিজি’কেও নাকি মাসিক দিতে হয় এগুলি বলে বেড়ান তিনি, ডিডি ঢাকা নাকি তার উপর সম্পুর্ন নির্ভরশীল তাকেও টাকা পয়সা দিয়ে নাকি ম্যানেজ করতে হয়।
এছাড়াও অভিযুক্ত ডিএডি তানহারুলের বিরুদ্ধে আরও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে, যা আমাদের পরবর্তী অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে থাকবে।
ডিএডি তানহারুল ইসলামের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।