রাজউকের শ্বশুর রেজাউল করিম তরফদারের দুর্নীতি পাহারায় জামাই দুদকের রেজানুর রহমান

Picsart_24-03-31_17-37-26-775.jpg

 
২০০৪ সালে আমরা এহসান এয়ার ট্রাভেল প্রতিষ্ঠা করেছি। এটি শুধু হজ এবং ওমরা প্রতিষ্ঠান। ‘মেসার্স এহসান ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিস’ প্রতিষ্ঠানটি তার রিক্রুটিং এজেন্সি। বাকী প্রতিষ্ঠান গুলো অন্য কারও হবে হয়তো। দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিস থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভাগ, জেলা কিংবা বিদেশে আমাদের কোনো অফিস নেই। কিছু এজেন্ট রয়েছেন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে এহসানুল করিম স্বীকার করেন, রাজউকের সাবেক সদস্য রেজাউল করিম তরফদার তার পিতা। দুদক মহাপরিচালক রেজানুর রহমান তার ভগ্নিপতি।

অপরাধ প্রতিবেদকঃ দুর্নীতি করেছেন শ্বশুর। দুর্নীতির যাতে তদন্ত এবং বিচার না হয় সেটি পাহারা দিচ্ছেন জামাতা। শ্বশুরের বিরুদ্ধে যখনই কোনো অনুসন্ধান শুরু হয়, বাগড়া দেন জামাতা। অজান্তে কোনো ক্রমে যদি মামলা হয়েই যায়, চার্জশিটে যেনো শ্বশুরের নাম না আসে তার জন্য যা যা করার তিনি তাই করেন। এভাবে অন্তত ৪টি বৃহৎ দুর্নীতি ও জালিয়াতির মামলা থেকে কায়দা করে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) তৎকালীন পরিচালক (এস্টেট) মো: রেজাউল করিম তরফদারকে। আর যিনি মামলা এবং চার্জশিট থেকে প্রতিবারই নাম কাটানোর ব্যবস্থা করছেন তিনি আর কেউ নন, দুর্নীতি দমন কমিশনেরই (দুদক) মহাপরিচালক (তদন্ত-১) রেজানুর রহমান।

প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা দুদকে পোস্টিং নিয়ে ২০১৯ সাল থেকে পাহারা দিচ্ছেন শ্বশুর রেজাউল করিম তরফদারের দুর্নীতির ফাইল। একটি গোয়েন্দা সংস্থা এবং রাজউক সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

সূত্রগুলো জানায়, ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ বনানীর এফ.আর. টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে অন্তত ২৫ জন দ্বগ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হয়েছেন অনেক। ওই বছর আলোচিত এই অগ্নিকাণ্ডের পর নকশা বহির্ভুত ভবন নির্মাণের অভিযোগ ওঠে। জালিয়াতি, ঘুসের বিনিময়ে ভবনের ফ্লোর বাড়ানোর অনুমোদনসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রাথমিক অনুসন্ধানে নানা বিষয় উঠে আসে।

প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের ২৫ জুন পৃথক দু’টি মামলা করে। মামলা দায়েরের পর পরই দুদকে মহাপরিচালক (তদন্ত-১) পদে প্রেষণে বদলি হয়ে আসেন যুগ্ম-সচিব রেজানুর রহমান। এজাহারে রূপায়ন গ্রুপের মালিক লিয়াকত আলী খান মুকুলসহ ২৩ জনকে আসামি করা হয়। একটি মামলায় ২০ জনকে আসামি করা হয়। আরেকটিতে ৫ জনকে। শেষোক্ত ৫ জনের মধ্যে ২ জন দু’টি মামলায়ই আসামি।

এজাহারে বলা হয়, এফআর টাওয়ারের ১৫তলা থেকে ২৩তলা পর্যন্ত অনিয়মের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। শুরুতে ১৫তলা ভবনের নকশা অনুমোদনেও মানা হয়নি নীতিমালা। ভবনটির দু’টি নকশা হস্তগত করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। একটি নকশায় ১৮তলা ও অন্যটিতে ২৩তলা দেখানো আছে।

এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে ছিলেন, কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর উল ইসলাম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তৎকালীন চেয়ারম্যান মো: হুমায়ুন খাদেম ও কে এ এম হারুন, রাজউকের তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী মো: সাইদুর রহমান, তৎকালীন অথরাইজড অফিসার-২ সৈয়দ মকবুল আহম্মেদ, সৈয়দ নাজমুল হুদা, সামছুর রহমান, তৎকালীন ইমরাত পরিদর্শক মাহবুব হোসেন সরকার, ইমারত পরিদর্শক আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী, নজরুল ইসলাম, তৎকালীন সদস্য (এস্টেট) রেজাউল করিম তরফদার ও আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, সাবেক পরিচালক (এস্টেট) শামসুল আলম ও আব্দুল্লাহ আল বাকী, সাবেক উপ-পরিচালক (এস্টেট) মুহাম্মদ শওকত আলী, সাবেক সহকারী পরিচালক শাহ মো: সামসুল আলম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক (এস্টেট) জাহানারা বেগম ও মোফাজ্জেল হোসেন, সাবেক পরিদর্শক মেহেদউজ্জামান, নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক মুহাম্মদ মজিবুর রহমান মোল্লা ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো: এনামুল হক।

এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা, ১৯৯৬-এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন। তারা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ইস্যু, ফি জমা ও অনুমোদন না নিয়ে ভুয়া নকশায় এফআর টাওয়ারের ১৯ থেকে ২৩তলা পর্যন্ত নির্মাণ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্ধক, ফ্লোর বিক্রি ও অগ্নিকাণ্ডের জনসাধারণের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছেন। এ অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১৬৬/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫ (২) ধারায় আসামিরা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

তদন্ত শেষে এক বছরের মাথায় ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর দুদক প্লটের মালিক, রাজউকের ১৫ কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। এই চার্জশিটে ৭ আসামিকে অব্যাহতি দেয়া হয়। সাত আসামির একজন রাজউকের তৎকালীন সদস্য (এস্টেট) রেজাউল করিম তরফদার। তার দায়মুক্তিতে যাতে প্রশ্ন না ওঠে এ কারণে দায়মুক্তি দেয়া হয় আরো ৬ আসামিকে। এফআর টাওয়ার মামলায় দায়মুক্তি প্রাপ্ত সাবেক এ রাজউক কর্মকর্তার মেয়ের জামাই দুদকের মহাপরিচালক (তদন্ত-১) রেজানুর রহমান। ২০১৯ সালে ইকবাল মাহমুদ কমিশন আমলে তিনি দুদকে যোগদান করেন। শ্বশুরের দুর্নীতির ফাইল পাহারা দিচ্ছেন ৫ বছর ধরে।

গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রটি জানায়, বোরাক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি নির্মিত বনানীর ‘হোটেল শেরাটন’র নকশার জাল-জালিয়াতিতেও রেজাউল করিম তরফদারের সম্পৃক্ততা মিলেছে। এ মামলা থেকে নিজ জামাতাই তাকে দায়মুক্তির ব্যবস্থা করেন বলে জানা যায়। এছাড়া রাজধানীর বনানীর প্লট-২৭, রোড-১৭, বনানী বা/এ ঢাকার প্লটটির দখলে রয়েছেন প্রভাবশালী একজন রাজনৈতিক নেতা। প্লটটি বরাদ্দ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক জাল-জালিয়াতি ও কোটি কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন হয়। এই জালিয়াতি নেপথ্যে ছিলেন রাজউক কর্মকর্তা রেজাউল করিম তরফদার। এছাড়া রাজউকের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত আরো ৩টি অনুসন্ধানে তরফদারকে আসামি করার সুপারিশ রয়েছে। কিন্তু তিনি যেহেতু দুদক মহাপরিচালকের শ্বশুর-এ কারণে মামলা দায়েরে কমিশনের অনুমোদন মিলছে না। এখানে উল্লেখ্য, বুয়েট-উত্তীর্ণ প্রকৌশলী হয়েও রেজানুর রহমান প্রশাসন ক্যাডারে আসেন। দুদকের মহাপরিচালকের পদটি যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার। বছর দুই আগে এ পদে থেকে তিনি অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। তা সত্ত্বেও এক অজানা আকর্ষণে তিনি নিম্নতম পদ আকড়ে পড়ে আছেন দুদকে। সংস্থাটির যেসব কর্মকর্তারা রাজউকের দুর্নীতি সংক্রান্ত অনুসন্ধান-তদন্ত করছেন, তার কারণে এসব কর্মকর্তারা এক ধরনের চাপ এবং অস্বস্তি বোধ করছেন। শ্বশুরের দুর্নীতির ফাইল পাহারার বিষয়ে কথা বলতে রেজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তার সেগুনবাগিচাস্থ দফতর থেকে জানানো হয়, তিনি ছুটিতে দেশের বাইরে রয়েছেন।

রাজউক সূত্র জানায়, রেজাউল করিম তরফদার রাজউকের একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা ছিলেন। অর্থ ও প্রভাব খাটিয়ে তিনি দুই দফা রাজউসের সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম দফা তিনি ২০০৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। রাজউকে প্রেষণে আসা এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়। তার স্থলে দায়িত্ব দেয়া হয় এসএম জাফর উল্লাহ বিসিএস (প্র:)। কিন্তু রেজাউল করিমের প্রভাব-প্রতিপত্তি এতোটাই বেশি ছিলো যে, লবিং-তদবির করে এক মাসের মধ্যেই রাজউকের একই পদে তিনি ফেরত আসেন। দ্বিতীয় দফায় তিনি ২০০৫ সালের ২৮ মার্চ থেকে ২০০৬ সালের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। দুই দফা দায়িত্ব পালনকালে রাজউকের বিভিন্ন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ, আকার ও পজিশন পরিবর্তন, প্লট একীভূতকরণ, হস্তান্তর, সেল পারমিশন, নকশা বহির্ভুত ভবন অনুমোদনসহ বহুমাত্রিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। নামে-বেনামে তিনি অর্জন করেন বিপুল অবৈধ সম্পদ। রাজধানীর গুলশান-১ এবং গুলশান-২ রয়েছে বাড়ি। রামপুরা বনশ্রীতে আছে বহুতল ভবন। এ বাড়িটি মেয়ের নামে কিনেছেন বলে জানা যায়। আর এ বাড়িতেই বসবাস করেন দুদক মহাপরিচালক রেজানুর রহমান।

বেশকিছু সম্পত্তি কেনেন নিজ স্ত্রীর নামে। ছেলে মাওলানা এহসানুল করিমের নামে উত্তরায় কেনেন প্লট। সেটির ওপর এখন ৬ তলা ভবন। ওটাকে ‘ছেলের বাড়ি’ দাবি করে ওখানে বসবাস করছেন রেজাউল করিম তরফদার। তার একটি আঙ্গুল কাটা। এটি দেখিয়ে নিজেকে দাবি করেন ‘যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে। তুলছেন ‘মুক্তিযোদ্ধা ভাতা’। ১৯৭৩ ব্যাচের এই বিসিএস কর্মকর্তা এখন অবসর জীবনযাপন করছেন। তবে লেবাস-সুরত পাল্টিয়ে ছেলের নামে লাইসেন্স নিয়ে জুড়েছেন বিশাল ব্যবসা।

হজ এজেন্সি এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (হাব) সূত্র জানায়, ‘আল এহসান হজ অ্যান্ড ওমরা গ্রুপ’ নামে এ প্রতিষ্ঠানের অধীনে রয়েছে এ সংক্রান্ত বেশকয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে ‘নূর-ই-মদিনা ট্রাভেল’, রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ (১৬৬-১৬৭ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি) আল-রাজী কমপ্লেক্সে (স্যুট নং-ডি-৬০৪) ঠিকানায় রয়েছে ‘এহসান ট্রাভেলস’। এটির শাখা ছড়িয়ে আছে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায়। দেশের বাইরে তুরস্ক, চায়না, সউদী আরবসহ বিভিন্ন দেশে রয়েছে অফিস। ঢাকার ১৪৭, ডিআইটি এক্সটেনশন রোডে ‘মেসার্স এহসান ট্রাভেল ইন্টারন্যাশনাল’ নামে আছে আরেকটি ভ্রমণ সংস্থা। ‘মেসার্স এহসান ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিস’ নামে একটি রিক্রুটিং এজেন্সিও রয়েছে। ‘এহসান এয়ার ট্রাভেলস’ প্রতিষ্ঠান হজ (লাইসেন্স নং-২৯৭) এবং ওমরা (লাইসেন্স নং-২৬৬) সেবা দেয়া হয়। এটি প্রধান কার্যালয় ঢাকা হলেও চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা এবং ফরিদপুরে শাখা রয়েছে বলে জানা যায়। উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে এহসানুল করিমের নামে রয়েছে ৬ তলা বাড়ি। ৩৪-৩৬ বছর বয়সী তরুণ এহসানুল করিমের পক্ষে উত্তরার মতো এলাকায় বাড়ি, দামী গাড়ি এবং এতোগুলো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা অসম্ভব বলে উল্লেখ করা হয় একটি গোয়েন্দা রিপোর্টে। মূলত, এসবই রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) রেজাউল করিম তরফদারের বেনামী ব্যবসা।

এদিকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা হয় ‘এহসান ট্রাভেলস’র মালিক এহসানুল করিমের সঙ্গে। এহসানুল করিম বলেন, ২০০৪ সালে আমরা এহসান এয়ার ট্রাভেল প্রতিষ্ঠা করেছি। এটি শুধু হজ এবং ওমরা প্রতিষ্ঠান। ‘মেসার্স এহসান ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিস’ প্রতিষ্ঠানটি তার রিক্রুটিং এজেন্সি। বাকী প্রতিষ্ঠান গুলো অন্য কারও হবে হয়তো। দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিস থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভাগ, জেলা কিংবা বিদেশে আমাদের কোনো অফিস নেই। কিছু এজেন্ট রয়েছেন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে এহসানুল করিম স্বীকার করেন, রাজউকের সাবেক সদস্য রেজাউল করিম তরফদার তার পিতা। দুদক মহাপরিচালক রেজানুর রহমান তার ভগ্নিপতি।

আরও সংবাদ পড়ুন।

রাজউকে দুর্নীতির সিন্ডিকেট গঠন; ঘুষের গ্রহন সহ একাধিক অভিযোগে – দুদকের অভিযান

আরও সংবাদ পড়ুন।

রাজউকের নিয়ম-নীতি ভঙ্গ – প্রধান ইমারত পরিদর্শক ইমরানের ক্ষমতার দাপট!

আরও সংবাদ পড়ুন।

রাজউকের অফিস সহকারী আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে – দুদকের অভিযান

আরও সংবাদ পড়ুন।

রাজউক কর্মচারী ওবায়দুল্লাহর অ্যাকাউন্টে ১০২ কোটি টাকা!

আরও সংবাদ পড়ুন।

রাজউক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী দেবাশীষ বরখাস্ত, বিভাগীয় মামলার সিদ্ধান্ত রাজউকের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top