ধ্বংস হচ্ছে মৎস্যসম্পদ। মেঘনায় অবাধে চলছে পোনা নিধন।

PicsArt_05-16-04.29.15.jpg

ধ্বংস হচ্ছে মৎস্যসম্পদ। মেঘনায় অবাধে চলছে পোনা নিধন

ভোলা সদর ইয়ামিন হোসেনঃ ভোলার মেঘনায় প্রতিনিয়ত বাগদা ও গলদা চিংড়ি রেণু সংগ্রহের নামে অবাধে নিধন হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার মাছের পোনা। এতে অন্যান্য প্রজাতির মাছসহ জলজ প্রাণীর ক্ষতির প্রভাব প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশু-কিশোর,বৃদ্ধ ও মাঝারি বয়সের ছেলে-মেয়েরা প্রতিদিন মশারি ও ঠেলা জাল দিয়ে মেঘনায় অবাধে বাগদা-গলদা রেণু ধরছে। আর এই রেণু ধরতে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। গত দুইদিনে ভোলার মেঘনার, ইলিশা, রাজাপুর, তুলাতলি,ভেলুমিয়া ও সবচেয়ে বেশি ইলিশার দালালকান্দি গ্রামসহ মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে এই চিএ। স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখের সামনে অবাধে এই রেণু আহরণ করলেও তারা এই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। মৎস্য অফিস সুএে জানা যায়, একটি বাগদা ও গলদা চিংড়ি রেণু আহরণ করার সময় ১০ থেকে ১২০০ প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংস হয়। এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী ধ্বংস হচ্ছে প্রতিনিয়ত। চিংড়ি পোনা আহরণের নামে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও জলজপ্রাণী। এখনই কায্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ইলিশশূন্য হয়ে পড়বে মেঘনা নদীতে। মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে, সিজনাল জেলেরা মশারি ও ঠেলা জাল দিয়ে বাগদা ও গলদা রেণু আহরণ করছে। শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ ও মাঝারি বয়সের ছেলে, মেয়েরা দলবেধে রেণু আহরণ করছে। প্রতিটি দলে ১৫/২০ জন রয়েছে। এদের অনেকের কোমড় ও হাতে রয়েছে বালতি ও হাড়ি। মেঘনায় কয়েকবার জাল টানার পর ডাঙ্গায় উঠে আসে। পরে জালের কোণায় জমানো বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা, জলজপ্রাণী ও চিংড়ির পোনা বড় থালা বা বাসনে রাখা হয়। পরে বেছে বেছে আলাদা করা হয় বাগদা-গলদার পোনা। বাগদা-গলদার পোনা আলাদা করা শেষ হলে অবশিষ্ট মাছের পোনা, জলজপ্রাণীসহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনা শুকনো মাটিতে ফেলে দেয়া হয়। আর এভাবে মেঘনায় প্রতিনিয়ত বাগদা-গলদা চিংড়ি পোনা আহরণের নামে অবাধে নিধন করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনাসহ জলজপ্রাণী।

উত্তর ভোলার বাগদার চিংড়ির বড় ঘাট ইলিশা দালালকান্দির ব্যবসায়ী দুলাল মিঝি, বাগদা রুহুল আমিনসহ একটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করেন বড় মোকামি বলে জানা গেছে, ছবি তুলতে গেলে এক পর্যায়ে এই প্রতিবেদক কে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন তারা।

তবে অভিযোগ রয়েছেন ইলিশার নৌ পুলিশ কে ম্যানেজ করেই তারা এই ব্যবসা চালাচ্ছেন।

এই বিষয়ে নৌ পুলিশের ওসি সুজন পাল জানান ভাই আমি ঢাকায় একটি ট্রেনিং আছি তবে বিষয়টি দেখছি।

ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ মোক্তার হোসেন কে জানালে তিনি ফোর্স নিয়ে এসে প্রতিবেদকের উপস্থিতেই বাগদা চিংড়ি ও মাছ ধরার সামগ্রী নদীতে পেলে দেন এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

এব্যাপারে ভোলা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, মেঘনা ও তেতুলিয়ায় অভিযানের পাশাপশি গণসচেতনতার কাজ চলছে। প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে অভিযান সামান্য ব্যাহত হলেও শেষ পর্যন্ত অভিযান চলবে এবং আমরা অতিদ্রুত এগুলো বন্ধ করতে পারবো বলেও তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top