ইমারত পরিদর্শক ও অথরাইজড অফিসারসহ কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন, দুর্নীতির সিন্ডিকেট গঠন, ঘুষের বিনিময়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভবনের ছাড়পত্র ও নকশা প্রদান এবং ভবন ভাঙ্গার নোটিশ দিয়ে বাণিজ্যসহ অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে রাজউকের ইমারত পরিদর্শক ইমরান হোসেন ও অথরাইজড অফিসার জোটন দেবনাথসহ কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক।
সাগর চৌধুরীঃ সোমবার (২৯ জানুয়ারি ২০২৪) রাজউকের ইমারত পরিদর্শক ও অথরাইজড অফিসারসহ কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন, দুর্নীতির সিন্ডিকেট গঠন, ঘুষের বিনিময়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভবনের ছাড়পত্র ও নকশা প্রদান এবং ভবন ভাঙ্গার নোটিশ দিয়ে বাণিজ্যসহ অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক, প্রধান কার্যালয় হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান কালে টিম সদস্য (প্রশাসন) ও প্রশাসন বিভাগের পরিচালকের নিকট হতে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে।
এছাড়াও অভিযান কালে অভিযোগের বিষয়ে অন্যান্য কর্মচারীদের সাথে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
প্রাপ্ত তথ্য, রেকর্ডপত্র ও গৃহীত বক্তব্য পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এমন অভিযান দুদক আরও পরিচালনা করবে।
সরকারের নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে ভবনের ছাড়পত্র ও নকশা পাইয়ে দিয়েও তারা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
নকশা পাইয়ে দিতে, ঘুষ লেনদেন ও কাগজপত্র জালিয়াতির নেতৃত্ব ছিলেন, রাজউক জোন ৬/১ এর প্রধান ইমারত পরিদর্শক ইমরান হোসেন। তবে, প্রমোশরের পর প্রধান ইমারত পরিদর্শক ইমরান হোসেনকে ৫/১ বদলী করা হয়েছে।
এছাড়া একই সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে অথরাইজড অফিসার জোটন দেবনাথের কয়েকজন কর্মচারীর ওই অভিযোগ রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে খিলগাঁও, বাসাবো, মাদারটেক, যাত্রাবাড়ী, আরকে মিশন রোডের আশপাশসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকার দায়িত্ব পালন করেছেন ইমরান।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
https://wnews360.com/archives/64901
আরও সংবাদ পড়ুন।