আসামি মিসেস জাফরিনের স্বামী আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার পুলিশ সার্জেন্ট পদে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের চাকরিতে যোগদান করে প্রথমে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পরে সহকারী পুলিশ সুপার পদে কর্মরত থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। আর জাফরিন একজন গৃহিণী। তার স্বামী পুলিশ বিভাগে চাকরি করার সুবাদে বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উপার্জিত অবৈধ অর্থের দ্বারা তার প্রত্যক্ষ সহায়তায় স্ত্রীর নামে ওই সম্পদ গড়েছেন।
অপরাধ প্রতিবেদকঃ ৫৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৩২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে সহকারী পুলিশ সুপার আ. রাজ্জাক হাওলাদার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. তানজিল হাসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি ২০২৩) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে সদ্য অবসরে যাওয়া আ. রাজ্জাক হাওলাদারের স্ত্রী মিসেস জাফরিন দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৩২ লাখ ৭০ হাজার ২৩৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের মাধ্যমে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছেন।
তিনি স্বামীর কাছে থেকে পাওয়া মিরপুর সেকশন-১৫ এর ডি ব্লকে ১২৫০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটের মূল্যের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। সম্পদ বিবরণীতে শুধুমাত্র দলিল রেজিস্ট্রি খরচ ২ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা উল্লেখ করলেও ফ্ল্যাট নির্মাণ ও জমির মূল্য হিসাবে ২৪ লাখ টাকা বিনিময়ের বিষয়টি গোপন করেছেন। স্বামী আ. রাজ্জাকের কাছ থেকে দান সূত্রে পাওয়া ওই ফ্ল্যাটসহ দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৩২ লাখ ৭০ হাজার ২৩৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের মাধ্যমে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন জাফরিন।
অন্যদিকে তার সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে মোট ১ কোটি ৯৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫২২ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে দুদকের অনুসন্ধানে। যার মধ্যে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৭ টাকার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়।
অর্থাৎ ৫৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৪৫ টাকার সম্পদ অর্জনের গ্রহণযোগ্য কোনো উৎস দেখাতে পারেননি পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আসামি মিসেস জাফরিনের স্বামী আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার পুলিশ সার্জেন্ট পদে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের চাকরিতে যোগদান করে প্রথমে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পরে সহকারী পুলিশ সুপার পদে কর্মরত থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। আর জাফরিন একজন গৃহিণী। তার স্বামী পুলিশ বিভাগে চাকরি করার সুবাদে বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উপার্জিত অবৈধ অর্থের দ্বারা তার প্রত্যক্ষ সহায়তায় স্ত্রীর নামে ওই সম্পদ গড়েছেন।
তাদের বিরুদ্ধে দুদক ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
আরও সংবাদ পড়ুন।
পুলিশ যখন মাদক ব্যবসায়ী – মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা
আরও সংবাদ পড়ুন।
পুলিশের নিয়োগ বাণিজ্য – মাদারীপুরে সাবেক পুলিশ সুপারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
আরও সংবাদ পড়ুন।