সারা দেশে ৭৫টি বীজ সংরক্ষণাগার নির্মাণ করবে সরকার

Picsart_23-09-24_07-50-54-014.jpg

সারা দেশে ৭৫টি বীজ সংরক্ষণাগার নির্মাণ করবে সরকার

বিশেষ প্রতিবেদকঃ সরকার সারা দেশে বিভিন্ন আকারের ৭৫টি বীজ সংরক্ষণাগার নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষক পর্যায়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বীজ সরবরাহ কার্যক্রম জোরদার করতেই এ সিদ্ধান্ত। এজন্য সরকারের ব্যয় হবে ২৮২ কোটি ৬১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এ লক্ষ্যে “কৃষক পর্যায়ে বিএডিসি’র বীজ সরবরাহ কার্যক্রম জোরদারকরণ” শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি (১২ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, বিএডিসি কর্তৃক কৃষক পর্যায়ে গুণগত মান সম্পন্ন বীজ সরবরাহের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এমন উদ্দেশ্যেই কৃষি মন্ত্রণালয় এ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)।

দেশের ৮টি বিভাগের ৬৪ জেলার ৪৮৮টি উপজেলাজুড়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। ২০২৬ সালের জুন নাগাদ প্রকল্পটি শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় ২৫ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতার ৭৫টি বিভিন্ন আয়তনের বীজ সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা হবে। একই সঙ্গে ১৫ হাজার ৮৪০ বর্গমিটার আয়তনের ৭০টি দফতর নির্মাণ করা হবে। এসব সংরক্ষণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা প্রহরী কক্ষসহ গেট, সীমানা প্রাচীর ও আরসিসি রাস্তা নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়াও প্রকল্পের আওতায় বীজ ডিলার বা ব্যবসায়ী এবং বিএডিসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

প্রকল্পটি গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপিতে অননুমোদিত নতুন প্রকল্প হিসাবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে বলেও জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় শস্য উপখাতের অন্যতম কৌশল উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন উপকরণের দক্ষ ও সুষম ব্যবহার নিশ্চিতকরণ। প্রকল্পটির মাধ্যমে গুণগত মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে এবং ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্পটি টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট-২ খাদ্য নিরাপত্তা, উন্নত পুষ্টিমান অর্জন এবং টেকসই কৃষির প্রসারের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সংগতিপূর্ণ। এসব বিবেচনায় প্রস্তাবিত প্রকল্পটি সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং এসডিজি’র লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের প্রস্তাব করে পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কৃষকের চাহিদা মাফিক গুণগত মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ও খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়ক ভূমিকা পালন করা সম্ভব হবে। এমন পরিস্থিতিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন কর্তৃক প্রস্তাবিত “কৃষক পর্যায়ে বিএডিসি’র বীজ সরবরাহ কার্যক্রম জোরদারকরণ”-শীর্ষক প্রকল্পটি সম্পূর্ণ জিওবি অনুদানে একনেকে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হলো।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, কৃষক পর্যায়ে গুণগত মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বাড়িয়ে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়ক ভূমিকা পালন করাই প্রকল্প গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কৃষকের চাহিদা মাফিক গুণগত মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

আরও সংবাদ পড়ুন।

রবি মৌসুমে ১০ ফসলের উৎপাদন বাড়াতে ১৮৯ কোটি টাকার প্রণোদনা

আরও সংবাদ পড়ুন।

দুই হাজার কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরন

আরও সংবাদ পড়ুন।

রক্ষকই ভক্ষক – কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে একাধিক অনিয়ম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top