করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষার নির্দেশ
স্বাস্থ্য প্রতিবেদকঃ করোনা ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা জ্বরে ভোগেন। তাই করোনার পাশাপাশি সন্দেহজনক রোগীকে ডেঙ্গু পরীক্ষারও নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
শনিবার (৯ মে) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু করোনা ও ডেঙ্গু রোগী উভয়েরই জ্বর থাকে। তাই করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি সন্দেহজনক রোগীকে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু কর্নার গত বছর থেকেই চালু আছে। এ বিষয়ে একটি টিম প্রস্তুত রাখার জন্যও সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।’
‘জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি দেশে ৬৪ জেলায় ডেঙ্গু কিট বিতরণ করেছে। এরপরও যদি কিটের প্রয়োজন থাকে, তাহলে প্রোগ্রাম থেকে সাপ্লাই দেয়া যেতে পারে। অথবা নিজস্ব অর্থায়নে কেনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে’, যোগ করেন নাসিমা সুলতানা।
ডেঙ্গুর সময় চলে এসেছে। কাজেই ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা প্রয়োজন। এ বিষয়টি নিয়ে শনিবার ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কনফারেন্স রুম থেকে ভিডিও কনফারেন্স করা হয়েছে। এ সময় দেশের ৬৪ জেলার সিভিল সার্জন এবং অধিকাংশ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা অংশ নেন। সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মহাপরিচালক। সভায় ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়। এ সময় করোনার পাশাপাশি সন্দেহজনক রোগীদের ডেঙ্গু পরীক্ষার পরামর্শ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতার জন্য শিগগিরই একটি ভিডিও পাঠানো হবে, যা নিজ উদ্যোগে স্থানীয় ডিশ চ্যানেল ও হাসপাতালসহ সম্ভাব্য জায়গায় প্রচারের ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। জেলা, উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভাকে সঙ্গে নিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও এডিস মশা নিধনে কাজ করার অনুরোধ করা হয়েছে।’
প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় কোভিড হটলাইন রয়েছে, সেই নম্বরে ডেঙ্গু বিষয় অন্তর্ভুক্তের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ডেঙ্গু রোগীদের যাবতীয় তথ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমে পাঠানোর জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত এ মহাপরিচালক।
পরামর্শ দিয়ে নাসিমা সুলতানা আরও বলেন, ‘কাজেই সবাইকে অনুরোধ করব, মশা যেন বংশ বিস্তার না করে। যে পদক্ষেপগুলো নিজেদের ঘরেও নেয়া দরকার, আপনারা সে বিষয়ে সচেতন থাকবেন। ঘরে কোথাও যেন তিন দিনের বেশি পানি জমা হয়ে না থাকে এবং কোনোভাবেই যেন আমরা অপরিষ্কার না থাকি।
ডেঙ্গুর বংশ বিস্তার করে এরকম কোনো পরিবেশ যেন আমরা বাসার মধ্যে না রাখি। টব, ভাঙা পাত্রে যেন পানি জমা না থাকে। বাসায় যেন আমরা সচেতন থাকি।’