ঝালকাঠি জেলারের হাজতির স্ত্রীর সঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব!
অপরাধ প্রতিবেদকঃ কারাবন্দী স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে নারী দর্শনার্থীকে রাত কাটানোর প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঝালকাঠি জেলা কারাগারের কারাধ্যক্ষ (জেলার) আক্তার হোসেন শেখের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কারা মহাপরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই নারী।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট২০২৩) কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বরিশালের ডিআইজি প্রিজন ও ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন, ভুক্তভোগী ওই নারী।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত জেলার আক্তার হোসেন শেখ। তিনি দাবি করেন, কারা আইন অনুযায়ী ১৫ দিন পর প্রত্যেকে একবার করে সাক্ষাৎ পাবেন। তবে ওই নারী প্রতিদিন সাক্ষাৎ করিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। সে বাড়তি সুযোগ না পেয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তুলেছে।
আরও সংবাদ পড়ুন।
হয়রানির শিকার নারী বলেন, আমার স্বামী একটি মামলায় ২৯ জুলাই থেকে ঝালকাঠি জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তার সঙ্গে দেখা করার জন্য অসংখ্যবার জেল গেটে গেলেও দেখা করতে পারিনি। পরে জেলের এক কর্মচারীর পরামর্শে জেলার আক্তার হোসেন শেখের সরকারি নম্বরে ফোন করে স্বামীর সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি জানাই। পরবর্তী সময়ে তিনি (জেলার) আমার স্বামীর সঙ্গে দেখার ব্যবস্থা না করিয়ে ফোনে কথা বলার ব্যবস্থা করে দিয়ে আমার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর চেয়ে নেন। এরপর থেকে জেলার বিভিন্ন সময় আমাকে কল করে কথা বলতেন।
তিনি আমার স্বামীর সঙ্গে দেখা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ভিডিও কল দিয়ে নানা ধরনের কথা বলে সময় কাটাতেন। এক পর্যায়ে আমাকে প্রস্তাব দিয়ে বলেন, তাকে সময় দিলে তিনি আমার স্বামীর সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবেন।
ওই নারী আরও বলেন, জেলার আমাদের নলছিটির বাড়িতে এসে একসঙ্গে রাত কাটানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আমি এতে রাজি না হওয়ায় আমাকে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি স্বামীকে জেলের ভেতরে শাস্তি দেবেন বলেও ভয়ভীতি দেখান।
আমি আমার দুটি শিশু বাচ্চা নিয়ে জেল গেটে দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থেকেছি। ওনার কুপ্রস্তাবের সব রেকর্ড আমার কাছে আছে। আমার বাচ্চারা ওদের বাবার সঙ্গে দেখা করতে না পেরে দিনরাত শুধু কান্নাকাটি করছে। আমার অসহায়ত্ব ও বিপদের সুযোগ নিয়ে জেলার আমার ইজ্জত নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন।
ঝালকাঠির কারা তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মিলন চাকমা বলেছেন, স্বামীর সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ায় জেলারের বিরুদ্ধে কারা অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসক বরাবর এক নারী অভিযোগ পাঠিয়েছেন বলে মৌখিক ভাবে জেনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও সংবাদ পড়ুন।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে সাবেক জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস চাকরিচ্যুত
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।