বোরহানউদ্দিনে অপরিপক্ক ও ক্যামিকেল যুক্ত আম বিক্রি; নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
সাগর চৌধুরীঃ ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাজার সংলগ্ন ব্রীজের পরেই রানীগঞ্জ রোডে আমের আড়ৎ, গত চার পাঁচ দিনে ঝড়ে পড়া রাজশাহী থেকে আনা অপরিপক্ক, ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো আম বিক্রি করছেন, এখানকার অসাধু ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। যা স্থানীয়দের জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ইতোমধ্যে স্থানীয়রা, অভিযোগ করেছেন গণমাধ্যমে।
বোরহানউদ্দিনের স্থানীয়দের অভিযোগ, এই অপরিপক্ক আম খেয়ে মানুষ নানা রকম পেটের পীড়া সহ নানা রোগে ভূগছে। তাছাড়া ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো আম জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসন এই বিষয়ে কঠোর ও কঠিন পদক্ষেপ নিতে পারেন। কিন্তু বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসন এই বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
রাজশাহীতে ঝড়ে পড়া অপরিপক্ক ও ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো আম। এই আম খেলে মানুষের শরিরে নানাবিধ রোগ হয়। মানব স্বাস্থ্যের জন্য যা খুবই ক্ষতিকর।
ঘটনাঃ বোরহানউদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাইক বাজিয়ে চার কেজি আম বিক্রি করছে একশো টাকায় বা তারো বেশি। যা এখানকার স্থানীয় মানুষ অভিযোগ করছেন।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এতকম দামে আম বিক্রী করছে কিভাবে?
কারণঃ রাজশাহী বিভাগ সহ দেশের বিভিন্নপ্রান্তে গত তিন চার দিন আগে ঝড়বৃষ্টি হয়। সেই ঝড়বৃষ্টিতে আম ঝরে পড়ে। সেই অপরিপক্ক এবং ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো আম গাড়িতে পরিবহন করে বেরহানউদ্দিনে আনা হয়।
গতকয়েক দিনের ঝড়ে পরা অপরিপক্ক আম মন ১০ টাকা, বা ২০ টাকা মন কিনে ভোলায় আনা হয়, সেই আম ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিনের বিভিন্ন বাজারে ও গ্রামে গ্রামে বিক্রি করে মাইক বাজিয়ে। মাইকের শব্দ দূষন করে। যা পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। পরিবেশ অধিদপ্তরের ভোলা জেলা শাখা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে। কিন্তু তারা এই বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় সেনেটারী পরিদর্শকের একটি দায়িত্বশীল পদ থাকার পরেও পদকর্তাকে এই বিষয়ে বার বার বলার পরেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছে না তিনি।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করা হলেও নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক একজন বলেন, uno স্যার নানা কাজে ব্যস্থ থাকেন, তিনি এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেন নি।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত সহকারী একজন সার্জনের কাছে জানতে চাইলে জানান, ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো আম খেলে,অবশ্যই মানুষের শরিরে নানাবিধ রোগ দেখা দেয়। সরকারি নিষেধাজ্ঞা আছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যাবস্থা গ্রহন করা উচিৎ।
ভিডিও দেখুন।
বোরহানউদ্দিনের রানীগঞ্জ রোডের আম ব্যবসায়ী সত্যজিৎ বলেন, রাজশাহী জেলার বাগা উপজেলা থেকে আমরা আম কিনে আনি।
রাজশাহী থেকে আম নিয়ে আসা সোহান বলেন, রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে আম নিয়ে আসি। অপরিপক্ক ও ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো আম বিক্রি করছেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটা ওনাদেরকে বলেন।
বোরহানউদ্দিনের আমের আড়ৎ দ্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আম অপরিপক্ক না ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো আপনি জেনে কি করবেন?
আরও সংবাদ পড়ুন।
ভোলা’র বাংলা বাজারে অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ ১৭৫ কেজি; জরিমানা ৫ হাজার টাকা
আরও সংবাদ পড়ুন।
ভোলার চরফ্যাশনে ৪টি ইট ভাটায় দশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা
আরও সংবাদ পড়ুন।
ভোলার তালের শাঁস – রাজধানীর বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে চড়াদামে