ভোলার তালের শাঁস – রাজধানীর বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে চড়াদামে
নগর প্রতিবেদকঃ কচি তালের শাঁস ও পাকা তাল বাংলাদেশসহ এশিয়ার অনেক দেশেই জনপ্রিয়। সাধ ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এর বেশিরভাগ অংশ জলীয় হওয়ায় এটা খেলে দ্রুত শরীরে পানিশূন্যতা দূর হয়।
রাজধানীতে ফরমালিন বা কেমিক্যাল ছাড়া কোনও ফল পাওয়া মুশকিল। সেখানে তালের শাঁস সর্বোৎকৃষ্ট। কোনও ধরনের ভেজাল নেই। তবে তালের শাঁস সুপারশপে বিক্রি হয় না, এটা কেবল ফুটপাত বা মহল্লার অলিগলিতে পাওয়া যায়। ছোট শাঁস অনুযায়ী দাম কিছুটা বেশি হলেও এ নিয়ে কিছু বলার নেই।
গণমাধ্যমের বরাতে জানতে পেরেছি তালের শাঁস অনেক উপকারী। এটা ডায়েটের জন্য বেশ কার্যকর। এছাড়া শুষ্ক ত্বক ও চুল পড়া বন্ধ করে। লিভার, কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তশূন্যতা এগুলোর জন্যেও উপকারী। এটা খেতেও সুস্বাদু। এজন্য নিজে খেলাম পরিবারের সদস্যদের জন্যেও নিল।
বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও ভোলা থেকে লঞ্চে ঢাকায় তাল আনা হয়। চরফ্যাশন উপজেলা, লালমোহন উপজেলা, তজুমদ্দিন উপজেলা সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাল রাজধানীতে আসে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারগুলোতে। আড়ৎদারের মাধ্যমে বিক্রী হয়। এক ছড়া তাল পাইকারি একশ টাকা বিক্রি করা হয়। আমাদেরও লাভ থাকে, তবে সীমিত। বেচাকেনা বেশি হলে লাভ বেশি হয়। এক ছড়াতে বারো থেকে চৌদ্দটি তাল থাকে। কোনও ছড়ায় আরও বেশি থাকে। আমাদের কাছ থেকে যারা পাইকারি কেনেন তারা একটা তালের শাঁস ১০ টাকা করে বিক্রি করেন।
স্থানীয়দের চাহিদা পুরন করে রাজধানীতে তাল পাঠানোয় লাভের আশায়, চাহিদার চেয়ে কম যোগান দেওয়ায় ঝুকিতে আছেন পাইকাররা। অনকেই বলছেন খরচ বেশি পরে যায়।
তবে, খুচরা ব্যাবসায়ীদের বক্তব্য, আড়ৎদারা বেশি মুনাফার আশায় দাদন দিয়েছে। এখন খরচ উঠানোর জন্য বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
আরও সংবাদ পড়ুন।