৪০তম বিসিএস – ক্যাডার-নন-ক্যাডার নিয়োগ একই সঙ্গে; রেকর্ড চার সহস্রাধিক নিয়োগ হচ্ছে

Picsart_23-04-28_08-46-12-756.jpg

৪০ বিসিএস – ক্যাডার-নন-ক্যাডার নিয়োগ একই সঙ্গে; রেকর্ড চার সহস্রাধিক নিয়োগ হচ্ছে

বিশেষ প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের ইতিহাসে নন-ক্যাডার বিধিমালা অনুযায়ী এর আগে এত সংখ্যক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি। অতএব নতুন বিধিমালা নিয়ে যে ধোঁয়াশা ছিল তার চূড়ান্ত সুফল পেতে যাচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। নতুন বিধি জারি হলে একইসঙ্গে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারের ফলাফল ঘোষণা করতে পারবে পিএসসি। ফলে নন-ক্যাডার নিয়োগ নিয়ে যে দীর্ঘসূত্রতা ছিল—সেটি কেটে যাবে। সময়ের অপচয়ও রোধ হবে বলে পিএসসি কর্তৃপক্ষের আশা। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমে বলেন, এই প্রথমবারের মতো সময়োপযোগী বাস্তবমুখী নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। দ্রুতই এটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া যাবে—এই আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এতে লাভবান হবেন নন-ক্যাডার পরীক্ষার্থীরা। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, তারা না বুঝে এতদিন আন্দোলন করেছিল। বর্তমান কমিশন পরীক্ষার্থীবান্ধব। ৪০তম বিসিএস থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক নন-ক্যাডার নিয়োগের সুপারিশ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন বিধিমালা এখনো অনুমোদন না হওয়ায় ৪০ বিসিএস নন-ক্যাডার নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ আছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরপরই নতুন নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। তবে পিএসসি ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার ফলাফল প্রস্তুত করে রেখেছে। বিধিমালা অনুমোদন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ইতিমধ্যে চার ধাপে নন-ক্যাডার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে প্রায় চার সহস্রাধিক চাহিদা পেয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। উত্তীর্ণ ৮ হাজার ১৬৬ জনের মধ্যে নন-ক্যাডার পদে ৪০ম বিসিএসে অপেক্ষামাণ আছেন ৬ সহস্রাধিক পরীক্ষার্থী। পিএসসিতে এখনো পর্যন্ত সাড়ে ১ হাজার ৬০০ মতো প্রথম শ্রেণির অর্থাৎ নবম গ্রেডের শূন্য পদের তালিকা এসেছে। এছাড়া ১০ম গ্রেডে আরও সাড়ে ৭০০, ১১তম গ্রেডে ৮০টির মতো এবং ১২তম গ্রেডে ১ হাজার ৭০০ মতো পদ রয়েছে। এতো বিপুল সংখ্যক নন-ক্যাডার আগে কোনো বিসিএস থেকে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করার নজির নেই।

বিগত কয়েকটি বিসিএসের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৩৩তম বিসিএসে নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেণি পদে ৩৭০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৫২২ জন, ৩৪তম বিসিএসে প্রথম শ্রেণিতে ৪০৯ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১ হাজার ৮৪৮ জন, ৩৫তম বিসিএসে প্রথম শ্রেণিতে ৬৯২ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১ হাজার ৩১৪ জন, ৩৬তম বিসিএসে প্রথম শ্রেণিতে ২৮৪ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১ হাজার ৮ জন, ৩৭তম বিসিএসে প্রথম শ্রেণিতে ৬৯২ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১ হাজার ৫১ জন, ৩৮তম বিসিএসে প্রথম শ্রেণিতে ১ হাজার ৬৫৬ জন, দ্বিতীয় শ্রেনীতে ১ হাজার ৪১৮ জন এবং ৪২তম বিশেষ বিসিএসে প্রথম শ্রেণিতে ৫৬৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

আরও সংবাদ পড়ুন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি কর্মচারীদের গ্রেডভিত্তিক পরিচিতি স্পষ্ট করলো

আরও সংবাদ পড়ুন।

যুগোপযোগী ও জনবান্ধব রাজস্ব প্রশাসন গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে – প্রধানমন্ত্রী 

আরও সংবাদ পড়ুন।

‘মাথামোটা’ জনপ্রশাসন কাঠামো থেকে বের হবে কবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top