দুদকে ১৭ মার্চ ২০২২ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
সাগর চৌধুরীঃ ১৭ মার্চ ২০২২ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০২ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সম্মানিত কমিশনারদ্বয়, দুদক সচিব, সকল অনুবিভাগের মহাপরিচালক, পরিচালক, উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকগণ। এছাড়াও ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন দুদক বিভাগীয় ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভার শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন উপপরিচালক (মানবসম্পদ) জনাব রফিকুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধু ও ৭৫ সালে কাল রাত্রে ঘাতকের হাতে শহীদ তাঁর পরিবারের সকল সদস্যের রুহের মাকফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
মাননীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ তার দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে বলেন, আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মদিনে জাতীয় শিশু দিবস পালন করছি। দিবসটি বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ। বঙ্গবন্ধু না হলে আমরা বাংলাদেশ পেতাম না, বাংলাদেশের অভ্যুদয় হতো না। বঙ্গবন্ধু দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ছিলেন। তিনি শিশুদের শিক্ষা থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে সুপরিকল্পিত উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
দেশকে স্বাধীন করা থেকে শুরু করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, উন্নত করার জন্য বহু পদক্ষেপ বঙ্গবন্ধু নিয়েছিলেন। বর্তমানে চলমান বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প গুলো বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনারই প্রতিফলন।
জাতিসংঘ কর্তৃক শিশু অধিকার সনদ গ্রহণের অনেক আগেই বঙ্গবন্ধু শিশুদের জন্য আলাদা আইন করেছিলেন। ১৯৭০ এর নির্বাচনী ইশতেহারে শিশু শিক্ষার কথা উল্লেখ করেছিলেন যা তিনি ‘৭৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধু নিজের জন্য কিছুই করেননি। তদ্রুপ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে আমাদের ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’ বলে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
কমিশনার (অনুসন্ধান) মহোদয় জনাব ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু না জন্মালে আমাদের অবস্থা অন্যরকম হতে পারতো। আমরা এ পর্যায়ে আসতে পারতাম না। তিনি বঙ্গবন্ধুর শৈশবকে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুকাল থেকে মানবদরদী ও প্রতিবাদী ছিলেন; পরিবার থেকে রাজনীতি, সমাজ থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর মানবতার দর্শন উল্লেখযোগ্য। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করলে আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পারব। বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হোক এই প্রত্যাশা রেখে ‘জয় বাংলা’ বলে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
কমিশনার (তদন্ত) মহোদয় জনাব জহুরুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে; স্বাধীন দেশে আমরা বিচারক হতে পেরেছি, আমরা বড় আমলা হতে পেরেছি; বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তা হতে পেরেছি। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে তা সম্ভব ছিল না। আমরাই লাভবান হয়েছি। কিন্তু সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আগের মতই কাজ করে যাচ্ছেন। সেজন্য আমাদের বেশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, উপদেশ থেকে শিক্ষা নিতে হবে; সেগুলো বাস্তবায়ন করে দেখাতে হবে; বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনে ধারণ না করলে শুধু কথায় বলে কোন লাভ হবে না। বঙ্গবন্ধু দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন; সকলকে নিয়ে দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে সকলকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে ‘জয় বাংলা’ বলে তিনি তাঁর বক্তব্য সমাপ্ত করেন।
এছাড়া, এ দিবসের তাৎপর্য নিয়ে বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করেন দুদক মহাপরিচালক( লিগ্যাল), প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালকগণ। সকল পর্যায়ের বক্তাগণ তাদের বক্তব্যের শেষে জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’ বলে তাদের বক্তব্য শেষ করেন।