৩৯তম বিসিএস থেকে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ

Ban_Govt4.jpg

৩৯তম বিসিএস থেকে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ

বিশেষ প্রতিবেদকঃ করোনা ভাইরাস প্রার্দুভাব বাড়তে থাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের চাহিদাপত্র পেয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

স্বল্প সময়ের মধ্যে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে উত্তীর্ণদের থেকে চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করতে যাচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে, পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়সহ অন্যান্য দপ্তরে যে ৫৬৪ জন চিকিৎসককে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যডারে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল, সেই সুপারিশ বাতিল করেছে পিএসসি।

মেধাতালিকা অনুযায়ী তারা এখন নন-ক্যাডার থেকে দুই হাজার চিকিৎসকের ক্যাডারের তালিকায় যুক্ত হবেন। মঙ্গলবার কমিশনের বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের চাহিদাপত্র পেয়েছি। ৩৯তম বিসিএস থেকে চিকিৎসকদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে। এজন্য ৩৯তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। সরকারের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের চেষ্টা আছে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ করার।

করোনা ভাইরাসের বিস্তারের পর চিকিৎসক সংকটের কারণে আক্রান্তদের চিকিৎসা ও অন্য রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য নতুন দুই হাজার চিকিৎসক এবং ছয় হাজার নার্স নিয়োগের কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এরপর গত রবিবার প্রথমে ছয় হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ দেওয়ার জন্য পিএসসিকে চাহিদাপত্র পাঠায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সরকারের কাছ থেকে চাহিদাপত্র পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার থেকে সরকারি কর্ম কমিশনের ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার পরীক্ষার শাখার কার্যক্রম বিশেষ ব্যবস্থায় চালু করা হয়। ২০১৮ সালে নিয়োগ দেওয়া নার্সের অপেক্ষামান তালিকা থেকে আপাতত পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ দিতে পারবে পিএসসি। গত সোমবারই চিকিৎসক নিয়োগের চাহিদাপত্র পায় পিএসসি।

তবে আর দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ নিয়ে কিছুটা জটিলতায় পড়ে কমিশন। কেননা ৩৯তম বিশেষ বিসিএস থেকে সরকারের চাহিদা অনুযায়ী ডাক্তার নিয়োগের একমাত্র সুযোগ ছিলো। গত ফেব্রুয়ারিতে পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নন-ক্যাডারে ৩৯তম বিসিএস থেকে সুপারিশ প্রাপ্তদের নিয়ে জটিলতা হয়। নতুন দুই হাজার চিকিৎসকে ক্যাডার পদে নিয়োগ দিতে হলে আগে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়টি ফয়সালা জরুরি। এই পরিস্থিতিতে পিএসসি জরুরি সভা ডেকে ৩৯তম বিসিএস থেকে নন-ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্তদের তালিকা বাতিল করতে বাধ্য হয়। নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত এবার ক্যাডারে যুক্ত হচ্ছেন।

পিএসসি সূত্র জানায়, ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে পিএসসি থেকে ৪৭৯২ জন চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। ওই বিসিএসে উত্তীর্ণ ৮৩৬০ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। ২০১৮ সালে ১০ এপ্রিল ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়, শেষ হয় ৩০ এপ্রিল। পরে ওই বছরের ৩ আগস্ট এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, এতে ৩৭ হাজার ৫৮৩ জন অংশ নেন। পরীক্ষায় পাস করেন মোট ১৩ হাজার ৭৫০ জন চিকিৎসক। এর মধ্যে সহকারী সার্জন পদে ১৩ হাজার ২১৯ চিকিৎসক ও ৫৩১ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে উত্তীর্ণ হন।

৩৯ বিশেষ বিসিএস থেকে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া প্রস্তাব করে চিকিৎসকদের সংসঠন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)। সংগঠনটির মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী সম্পতি এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top