বর্তমান ব্যবস্থাকে জোড়াতালি দিয়ে কোভিড সমস্যা মোকাবিলা করা যাবে না: জাতিসংঘ
বিশেষ প্রতিবেদকঃ কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব থেকে দ্রুত বের হয়ে আসার জন্য সরকারকে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে এবং নতুন করে বিনিয়োগ করতে হবে।
এছাড়া অর্থনৈতিক প্রণোদনা ও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর জোর দিতে হবে। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) জাতিসংঘ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) এর একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, বর্তমান ব্যবস্থাকে জোড়াতালি দিয়ে এই সমস্যা মোকাবিলা করা যাবে না এবং দেশগুলোকে একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে ওই প্রতিবেদনের মূল্যায়ন, ‘এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং এককভাবে কাজ করা সমাধানের কোনও পথ নয়।’
‘এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে কোভিড-১৯ এর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর উদ্দেশে বলা হয়, করোনাভাইরাসের আগে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক উন্নয়নের পথ ব্যবহার করা হতো। তবে এখন সময় এসেছে সেটি পরিহার করে নতুন একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করা।
রিপোর্টে বলা হয়, নতুন মানবাধিকারভিত্তিক ব্যবস্থায় মানুষ ও সরকারের মধ্যে সম্পর্ক যেন নায্যতা ও ন্যায়ের ভিত্তিতে হয়। এছাড়া সামাজিক সুরক্ষার পরিধি বৃদ্ধি, সার্বজনীন স্বাস্থ্য নিশ্চিত এবং সুলভ খরচে ডিজিটাল কানেক্টিভিটির ওপর জোর দিয়ে বলা হয়, ‘এই ব্যবস্থা সমাজে যেন নতুন স্বাভাবিক বিষয় ( নিউ নরমাল) হয়।’
জনস্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক প্রণোদনা, সামাজিক সুরক্ষার পরিধি বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে এবং এজন্য অগ্রাধিকার খাতগুলোকে পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানানো হয় এ প্রতিবেদনে।
এতে বলা হয়, বাজেট পুনর্বিবেচনা করা কষ্টকর বিষয়, কিন্তু এই জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য, ঘাটতি কমানোর জন্য এবং সরকারি ঋণ কমানোর জন্য এটি করা দরকার।
গোটা বিশ্ব এখন দুটি জমজ সমস্যার মুখোমুখি এবং সেগুলি হচ্ছে মহামারি ও অর্থনৈতিক সমস্যা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এককভাবে কোনও দেশের পক্ষে এটি থেকে বের হওয়া সম্ভব নয় এবং এজন্য প্রয়োজন বৈশ্বিক সমন্বয় এবং সংহতি-যাতে করে টেকসই ও বাস্তবসম্মত উন্নয়নের পথ খুঁজে বের করা যায়।