আজ ১ সেপ্টেম্বর থেকে মেডিক্যাল কোচিং বন্ধ রাখার নির্দেশ।

PicsArt_09-01-10.19.46.jpg

আজ ১ সেপ্টেম্বর থেকে মেডিক্যাল কোচিং বন্ধ রাখার নির্দেশ।

আগামী ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা।

আর এ ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে রাজধানী সহ সারাদেশের মেডিক্যাল কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

আজ ১ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত এসব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ( চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য বাংলাদেশের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা এ যাবত কালে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন নীতিনির্ধারণী মহল সজাগ রয়েছেন।

সরকারের সকল সর্তকতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এবং সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা, সতর্কতা এবং নিরপেক্ষতার নিশ্চয়তার জন্য আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সকল বেসরকারি পর্যায়ের ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত কোচিং সেন্টারসমূহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ‍গৃহীত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওই চিঠিতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত আগামী ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে পদার্থবিদ্যায় ২০, জীববিজ্ঞানে ৩০, রসায়নে ২৫, ইংরেজি ১৫ ও বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞানের জন্য রয়েছে ১০ নম্বর।

ভর্তি পরীক্ষার জন্য গত ২৭ আগস্ট থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়েছে। এক হাজার টাকা টেলিটকের মাধ্যমে জমা দিয়ে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে।

দেশে বর্তমানে ৩৬টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে মোট আসন সংখ্যা রয়েছে চার হাজার ৬৮টি, এর মধ্যে তিন হাজার ৯৬৬টি সাধারণ আসন। আর ৮২টি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং ২০টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য কোটা হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে।

অপরদিকে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে রয়েছে প্রায় সাত হাজারের মতো আসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top