যারা চুরি করছেন, তারা অমানুষ, অপরাধী – প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ
বিশেষ প্রতিনিধিঃ দারিদ্রতা আছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের অবিরাম সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এখানে মানুষের মাঝে হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা কাজ করে। কিন্তু তাই বলে করোনাকালেও ত্রাণের চাউল চুরি! এমন ক্রান্তিকালে চাল চুরির ঘটনা অবাক করেছে। চাল চুরির ঘটনা প্রমাণ করে আমরা সভ্যতার কাছে যেতে পারিনি।
ত্রাণের চাল চুরি প্রসঙ্গে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সরকারের নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
করোনা সংকট মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে দরিদ্রদের মাঝে ত্রাণের চাল বিতরণ করা হচ্ছে। সেই চাল বিতরণে শুরু থেকেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে সরকাল দলীয় সংগঠনের বেশ কিছু নেতা ও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগ উঠেছে, যা গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যপক সমালোচনা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি পৃথিবী আগে কখনো মোকাবিলা করেনি। সবার জীবনই এক প্রকার অনিরাপদে আছে। মানুষ বেঁচে থাকার তাগিতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেও মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। এমন মানবিক সমাজও পৃথিবী আগে দেখেনি। অথচ এমন দিনেও আমাদের চাল চুরির গল্প শুনতে হয়!’
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরের মতো এবারও সাধারণ মানুষের সংকট মোকাবিলায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ত্রাণ ও নানা প্রণোদনা দিচ্ছেন। এই উদ্যোগ সবাইকে ভরসা দিচ্ছে। তিনি ত্রাণে ও প্রণোদনায় যেকোনো অনিয়ম দূর করতে কঠোরতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশাসন সেভাবেই কাজ করছে। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে চাল চুরির অভিযোগে।’
প্রতিমন্ত্রী চাল চুরির ঘটনাকে ফৌজদারি অপরাধ বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদ৷ সব চেয়ারম্যান, মেম্বার চুরির সঙ্গে যুক্ত, তা মনে করার কোনো কারণ নেই৷ কিন্তু যারা চুরি করছেন, তারা অমানুষ, অপরাধী। এই অপরাধীরা ক্ষমার অযোগ্য অন্যায় করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সময়ের দাবি।’