পুলিশি হেফাজতে সংঘবদ্ধ নারী ধর্ষণের ঘটনায় ওসি-এসআই ক্লোজড।
খুলনা জিআরপি থানা হাজতে সংঘবদ্ধ নারী ধর্ষণের ঘটনায় থানার ওসি উছমান গণি পাঠান ও এসআই নাজমুল হককে ক্লোজড করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৭ আগস্ট) তদন্ত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ এ তথ্য জানান।
শুক্রবার (২ আগস্ট) খুলনার জিআরপি থানার ওসি ওসমান গণি পাঠান সহ পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক তরুণীকে (২১) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ পাওয়ার পর আদালতের নির্দেশে সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। পরীক্ষা শেষে ওই নারীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ভিকটিমের দুলাভাই জানান, ২ আগস্ট শুক্রবার তার শ্যালিকা যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসেন। ট্রেন থেকে নামার পর রাত সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা রেলস্টেশনে জিআরপি পুলিশের সদস্যরা তাকে মোবাইল চুরির অভিযোগে সন্দেহ জনক ভাবে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে (ভিকটিমের দুলাভাই) ফোন করে ওসি উসমান গনি থানায় ডেকে নিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি এত টাকা কোথায় পাবেন বললে ওসি তাকেও থানা হাজতে আটকে রাখার হুমকি দেন।
একপর্যায়ে বলেন, টাকা না দিলে তার শ্যালিকাকে ফেনসিডিলসহ আরও কঠিন মামলায় চালান দেওয়া হবে। পরে রাত বেশি হলে তিনি বাড়ি ফিরে যান। এরমধ্যে গভীর রাতে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উসমান গনি পাঠান প্রথমে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর আরও চার জন পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন ৩ আগস্ট শনিবার তাকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিল সহ একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলতলায় পাঠানো হয়।
ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নির্দেশে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ঘটনা তদন্ত ও সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন সাত দিনের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।