ছবিঃ লেখকের ফেইসবুক থেকে।
মোঃ আঃ কূদ্ দূস, নির্বাহী কর্মকর্তা, বোরহানউদ্দিন, ভোলা।
প্রতিবারের ন্যায় এবারও জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতা ২০১৮ তে কতিপয় ড্রাংক লোককে বিচারক নিয়োগ করা হয়েছে। তারা দূর্নীতিবাজ। ওনাদের কাছে যারা সংগীত বা নৃত্য বা আবৃত্তি প্রাইভেট পড়ে তাদেরক গায়ের জোরে ফাস্ট বানায়। বরিশাল গিয়ে এসব অযোগ্যরা ডাব্বা মারে। তার প্রমাণ গত সপ্তাহে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৮ তে বোরহানউদ্দিন উপজেলা হতে আমরা ভোলায় ৫৬ আইটেমের মধ্যে মাত্র ১১ টি তে ফাস্ট হয়ে বরিশালের বিভাগীয় পর্যায়ে ৭টিতে ফাস্ট হয়েছি। আর ভোলা জেলায় ৩৭ টিতে ফাস্ট হয়ে বিভাগে ৩টিতে ফাস্ট হয়েছে। আজকে সেই পাষন্ড দূর্নীতিবাজ স্বজনপ্রীতির বিচার আবার দেখলাম। উপজেলা প্রশাসন স্কুল, বোরহানউদ্দিন থেকে ৮ জন সেকেন্ড হয়েছে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, নিরপেক্ষ বিচারক দিয়ে বিচার করলে এই সেকেন্ড পজিশন অধিকারকারীরাই জাতীয় পুরুস্কার পাবে। তার সুস্পষ্ট প্রমাণ, গত বছর জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৭ তে নৃত্য প্রতিযোগিতায় ভোলায় জেলা পর্যায়ের আমাদের শিল্পকলার একজন শিক্ষার্থীকে সেকেন্ড করেছিল অন্যায়ভাবে। অথচ সে এই এক বছরে চারটি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে নৃত্যে। আর ভোলা থেকে যাকে প্রথম করেছিল, খবর নিয়ে দেখেন তার অবস্থান কোথায়???
ভোলার কয়েকজন মাদকখোর পাষন্ড অবিবেচক বিচারকের অবিচারেরর কারণে ভোলা জেলার অন্যান্য উপজেলার ইউএনওরা মনে হয় এখন আর তাদের প্রতিযোগীদের ভোলায় পাঠান না। আমি বোরহানউদ্দিন উপজেলা থেকে এরপর আর জেলা পর্যায়ের কোন প্রতিযোগিতায় কাউকে প্রেরণ করব না। কারন, এই সভ্য যুগে বাস করে এই রকম অসভ্যপনা, দূর্বত্তপনা, অবিচার ও দূর্নীতি মেনে নেয়া কষ্টকর। দুঃখের বিষয় হল, এসব বিষয়ে কাউকে বলার মতও পাচ্ছি না। যাকে বলি, সবাই বলে চুপ থাকতে। কিন্তু যেসব ছোট্ট সোনামনিরা রাত দিন প্রাকটিস করেছে তাদের আর তাদের অভিভাবকদের অশ্রুজল কিভাবে সংবরণ করি? মাঝে মাঝে নিজেকে ধিক্কার জানাই। ছি ছি, আমরা কতিপয় ড্রাংকের কাছে জিম্মি হয়ে থাকবো? আর আমাদের সুন্দর আগামী বিনির্মাণের স্বপ্নগূলো স্বপ্নই থেকে যাবে। ক্ষমা করো, মা, মাতৃভূমি। তোমার সন্তানদের মানুষ করার চেষ্টা ড্রাংকরা শেষ করে দিচ্ছে। সত্যিই মা, তুমি আমাকে ক্ষমা করো। আর আমাকে গন্ডারে রূপান্তরিত কর।
এই দুষ্টচক্রের আবর্তে চলতে থাকলে ভোলা জেলা দিন দিন শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়ায় পিছিয়ে পড়বে। এদের দূর্নীতি কারণেই হয়তো আমরা স্বধীনতার ৪৭বছর পরও এসব ক্ষেত্রে এই জেলা এতটা পিছনে পরে অাছি!