দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে দুদক।
দুদক পিআরঃ মশক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন না করার অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং মশক নিবারণ দপ্তরে (লালবাগ, ঢাকেশরী মন্দির এলাকায়) একই টিমের মাধ্যমে দুইটি পৃথক
অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন- ১০৬) আগত এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান কার্যালয় হতে আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়। দুদক টিম প্রথমে ঢাকা মশক নিবারণী দপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে।
মশক নিবারণী দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তাকে দপ্তরে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। উক্ত দপ্তরে মজুদকৃত মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত ঔষধের ড্রাম খালি অবস্থায় পাওয়া যায়, যা অস্বাস্থ্যকর এবং মশার বিস্তারে সহায়ক এরূপ প্রতীয়মান হয়।
গোডাউনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং মশার অবাধ বিস্তার ও বিচরণ লক্ষ্য করে দুদক টিম।
পরবর্তীতে টিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে। টিম জানতে পারে, মশা নিধনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিকট হতে মশার ঔষধ ধার নিয়ে ব্যবহার করছে। দুদক টিম আরও লক্ষ্য করে, দেশব্যাপী ডেক্সগুর প্রকোপ ভয়াবহ হারে বাড়লেও পূর্বে যে হারে ঔষধ ব্যবহার করা হতো সেই একই হারেই এখনও ঔষধ ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ প্রেক্ষিতে গত চার বছরে কী পরিমাণ মশার ঔষধ ক্রয় করা হয়েছে এবং সেগুলো কী হারে ব্যবহার করা হয়েছে তা আগামীকালের ভিতরে জানানোর জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে অনুরোধ করেছে অভিযান পরিচালনাকারী টিম।
এদিকে অবৈধ যোগসাজশে রেলওয়ের জমি দখল করে মাটি ভরাট ও স্থাপনা গড়ে তোলার অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করছে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ হতে আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়।
সরেজমিনে অভিযানে দুদক টিম দেখে, রেলওয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট হতে চট্টগ্রাম নগরীর প্রাণকেন্দ্র আগ্রাবাদ ডেবা, পাহাড়তলি জোড় ডেবা ও ভেলয়ার দীঘি ইজারা দেয়া হয়। পরবর্তীতে ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তা দখলমুক্ত হয়নি, বরং উক্ত এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোকজন এলাকাগুলোতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে এবং ভাড়া দিয়ে অবৈধ অর্থ আয় করছে। এ অনিয়ম ও সরকারী স¤পদের অপচয় রোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র প্রেরণের সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে দুদক টিম।
এদিকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙা পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাঙামাটি হতে আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম এক কোটি বত্রিশ লাখ টাকা ব্যয়ে মাটিরাঙা পৌরসভা কর্তৃক বাস্তবায়িত ২টি রাস্তার কাজ ও ২ টি কালভার্ট নির্মাণকাজের নথি নিরীক্ষা করে। দুদক টিম পৌর মেয়র ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সরেজমিনে প্রকল্প সমূহ পরিদর্শন করে। বাস্তবায়িত প্রকল্পের মধ্যে কালভার্টের সংযোগ সড়ক ভাঙা দেখা যায় এবং রাস্তার কাজে কিছু অনিয়ম পাওয়া যায়। টিম তাৎক্ষণিকভাবে উল্লিখিত ত্রুটির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পৌর মেয়র ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অনুরোধ করে।
এদিকে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ ও ঝুঁকিপূর্ণ তিস্তা ব্রিজ মেরামতে পদক্ষেপ না নেয়ার অভিযোগে, বিদ্যালয় উন্নয়নের জন্য অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও টিআর প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এবং বোরো মৌসুমে সরকারী ধান সংগ্রহে খাদ্য গুদামের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যথাক্রমে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রংপুর, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুষ্টিয়া ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়, হবিগঞ্জ হতে পাঁচটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম।