জোর পৃর্বক দিন মজুরের জমি রেজিস্ট্রি চায় বিশরামপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সরোয়ার।

PicsArt_01-15-11.53.11.png

জোর পৃর্বক দিন মজুরের জমি রেজিস্ট্রি চায় বিশরামপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সরোয়ার।

সাগর চৌধুরীঃ ভোলার বোরহাউদ্দিন উপজেলায় হতদরিদ্র দিন মজুর অাঃ কুদ্দুসকে আটক করে বোরহাউদ্দিন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এনে জোড় পূর্বক ৫২ শতাংশ জমি দলিল রেজিস্ট্রি করার চেষ্টা চালায় স্থানীয় প্রভাব শালী হাওলাদার ইট ভাটার মালিক ও বিশরামপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সরোয়ার।

রবিবার ১৪ জানুয়ারী ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রী অফিসে এমন ঘটনা ঘটে।

এব্যাপারে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদদূস এর বারাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছে ভূক্তভোগী দিন মুজুর আঃ কুদ্দূছ।

আঃ কুদ্দূছ বলেন, বিগত সাত বছর পূর্বে বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমুদ্দিনের এইচ এইচ বি ইট ভাটার মালিক সরোয়ার মাষ্টারের কাছ থেকে ৫৬ শতাং জমি বন্ধক রেখে ৩৭ হাজার টাকা নেন এবং ওই ইট ভাটায় দিন মজুরের কাজ করেন অাঃ কূদ্দুছ।

জমি বন্ধক নেওয়ার পর সরয়ার ওই ফসলি জমি কেটে ইট ভাটায় ব্যবহারের জন্য মাটি কেঁটে নেয়।

মাটি কাটার ব্যাপারে আঃ কূদ্দুছ প্রতিবাদ করলে তাকে স্বমূলে ভিটামাটি ছাড়া করারও হুমকি দেয় সরোয়ার।

বেশ কিছু দিন ধরে বন্ধকী জমি দলিল রেজিস্ট্রি করে দিতে চাপ সৃষ্টি করে আসছিলো সে। রবিবার সকালে সরোয়ার মাষ্টার এবং তার ভাতিজা সোহেল ও ইট ভাটার ম্যানেজার কামাল কুদ্দুছকে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে বোরহানউদ্দিন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এনে

আঃ রহিম, পিতাঃ মোঃ ইয়াছিন, সং দালালপুর সনদ নং ৪৯, পাটওয়ারীর মাধ্যমে জোড় পূর্বক একাধিক ষ্ট্যাম্পে সাক্ষর ও টিপসহি রেখে দলিল করার সকল ব্যবস্থা করতে থাকলে সুযোগ বুঝে সকলের চোঁখ ফাকি দিয়ে আঃ কুদ্দুছ উপজেলা অফিস গেইটে এসে কাদঁতে থাকলে তাকে দেখে সাধারন মানুষ ঝড়ো হয় এবং তার কান্নার কারণ জানতে চাইলে বিশারামপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কথা উপস্থীত সকলকে জানায়।

পরে স্থানীয় লোকজন সাংবাদিক দের খবর দিলে ভুক্ত ভোগী আঃ কুদ্দুছকে সাথে নিয়ে বোরহানউদ্দিন সাব- রেজিস্টার জোবায়ের হোসেনের কাছে অভিযোগ করলে ওই দলিল রেজিস্টার হবে না বলে নিশ্চয়তা প্রদান করেন তিনি।

তবে ঘটনায় জড়িত আঃ রহিম, পিতাঃ মোঃ ইয়াছিন, সং দালালপুর সনদ নং ৪৯, পাটওয়ারী নিয়ম বর্হিভূত কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেয়নি এবং সাক্ষরিত স্ট্যাম্প উদ্ধার করতে পারেনি সাব-রেজিস্টার।

সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়
প্রভাব শালী ইট ভাটা মালিক ও বিশরামপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সরোয়ার ও তার লোক জন।

এব্যাপারে সাব রেজিস্টার জোবায়ের হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমার আফিসের অব্যন্তরীন বিষয়ের মধ্যে পরেনা এটা বহিরা গত ব্যাপার।

চলবে……

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top