চরফ্যাশন-ভোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহাল দশা
চরফ্যাশন-ভোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমোহন এলাকার ৬ কি.মি. সড়ক এখন যাত্রীদের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কের বেহাল দশায় হেঁটেও চলাচল করাও দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে ভোলা-চরফ্যাশন রুটসহ ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রামের বাস চলাচল করে। ব্যস্ততম এই সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে প্রতিদিনই নানা দুর্ঘটনা ঘটছে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার সিমানা পার হলেই লালমোহন ডাওরী বাজার থেকে লালমোহন থানার মোড় পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়ক ডেন গলার কাটা। পুরো রাস্তা জুড়ে হাজার হাজার খানা খন্দরে ভরা। সড়কটি মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ উদ্যোগ নিলেও বর্ষা মৌসুমে কাজ শেষ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে তারা। এতে ঈদের সময় এ সড়কেই ঘরমুখো যাত্রীদের আরো ভোগান্তি পোহাতে হবে। একইভাবে ঈদ শেষে কর্মস্তলে ফেরা যাত্রীরাও একই দুর্ভোগে পড়বেন।
জানা গেছে, চরফ্যাশন ভোলা আঞ্চলিক মহাসড়ক দূরত্ব ১১০ কিলোমিটার। এরমধ্যে ভোলা থেকে চরফ্যাশনের দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার।
এ সড়কটিই জেলা সদরের সাথে জেলার ৫ উপজেলার ও আরো নতুন দুটি থানা দক্ষিণ আইচা ও শশীভূষণ এলাকার যোগাযোগের একমাত্র ভরসা। এ সড়কের ডাওরী থেকে লালমোহন উপজেলা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘ দেড় বছর ধরে বেহাল দশায় পরে রয়েছে।
সড়কের কোথাও উঁচু-নিচু, কোথাও ভাঙা-চোড়ায় নাজুক অবস্থা। সড়কের চারপাশের ইট, বালু ও খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলবদ্ধতায় ডুবে যায় সড়কের অধিকাংশ এলাকা। তখন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় পরিবহনগুলোর। অন্যদিকে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ যাত্রীদের।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানিয়েছেন, ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের ডাওরী থেকে ভোগান্তি শুরু এবং লালমোহনে গিয়ে শেষ। পুরো ৮০ কিলোমিটার যাত্রাপথ সহজ হলেও এই ৬ কিলোমিটার পথ যাত্রীদের চরম বিড়ম্বনায় পরতে হয়। যাত্রাপথে বাসের ঝাকুনিতে যাত্রীরা প্রতিনিয়ত মরণকে সঙ্গী করেই ছুটছে যার যার গন্তব্য স্থানে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ ভোলা বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশরী নাজমুল ইসলাম জানান, ভোলা-চরফ্যাশনের আঞ্চলে মহাসড়কের ক্ষতিগ্রস্থ ৬ কিলোমিটার সড়ক মেরাতমের জ ন্য ৩৩ কোটি টাকার বরাদ্দ হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়াও শেষ, ইতোমধ্যে কাজও শুরু হয়ে গেছে। ঈদে যাত্রীদের ডেন ভোগান্তি পোহাতে না হয় সে জন্য ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করা হবে।