২০২ জন শিক্ষকের জাল সনদে চাকরি; ফেরত দিবে বেতন ভাতা, হবে ফৌজদারি মামলা

Picsart_24-04-05_23-49-13-865.jpg

শিক্ষা প্রতিবোদকঃ জাল সনদে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন সহস্রাধিক শিক্ষক। সম্প্রতি পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জাল সনদসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়। সেখানে এমন ১ হাজার ১৫৬ জন শিক্ষকের জাল সনদের তথ্য দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৭৯৩ জন শিক্ষকের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ, ২৯৬ জনের কম্পিউটার শিক্ষার সনদ এবং ৬৭ জনের বিএড, গ্রন্থাগার, সাচিবিকবিদ্যা ও অন্যান্য বিষয়ের সনদ জাল।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর ২০২৪) জাল সনদে চাকরি করা ২০২ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সাতটি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ (এমপিও) বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে তালিকায় থাকা অভিযুক্ত জাল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধান কর্তৃক ফৌজদারি অপরাধের মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

দীর্ঘদিন চাকরির সুবাদে এসব শিক্ষক জাল সনদে সরকার থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা বেতন বাবদ উত্তোলন করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই অর্থ শিক্ষকদের সরকারি কোষাগারে ফিরিয়ে দিতে হবে।

গত ১৮ মে জাল সনদে দীর্ঘ বছর শিক্ষক-কর্মচারী পদে চাকরি করছেন, এমন ৬৭৮ জন শিক্ষককে শনাক্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) বলা হয়, এতদিন যে টাকা বেতন ভাতা হিসেবে তারা গ্রহণ করেছেন, তা ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু জাল সনদধারী এসব শিক্ষককে চাকরিচ্যুত ও এমপিও বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার এক মাস পরও ওই শিক্ষকদের বেতন ও উৎসবভাতা বাবদ তাদের অনুকূলে কয়েক কোটি টাকা ছাড় করেছিল মাউশি। তবে শেষ পর্যন্ত ২০২ জনের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল মাউশি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে বর্তমানে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজার। এর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০ হাজার ৩১৬টি, কলেজ ২ হাজার ৬৬৪টি, মাদ্রাসা ৯ হাজার ২৯২টি এবং ২ হাজারের মতো কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য ২০০৫ সাল থেকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক ‘শিক্ষক নিবন্ধন সনদ’ বাধ্যতামূলক করা হয়। বতর্মানে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৪ লাখ শিক্ষক ও ১ লাখ কর্মচারী, যারা সরকারি বেতন- ভাতা পেয়ে থাকেন।

শিক্ষা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের ২৯ জন, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১০ জন, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১০০ জন এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১৭ জন শিক্ষকের সনদ জাল। এর বেশির ভাগই এনটিআরসিএ এবং কম্পিউটারের জাল সনদ দিয়ে এমপিও নিয়েছেন। স্কুল-কলেজের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাল সনদে শিক্ষকদের চাকরি করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তৎপরতায় নিয়মিতই শিক্ষকদের জাল সনদ পাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সনদ, এনটিআরসিএর সনদ ও কম্পিউটার সনদ জাল করে শিক্ষকরা দীর্ঘদিন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে সরকারি অর্থ ভোগ করছেন তারা।

মাউশির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষক বা কর্মচারীর জাল সনদের সত্যতা যাচাই করে তথ্য পাঠানো হয়েছে এবং উক্ত পত্রে জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে মোট সাতটি বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে এ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক যথাযথ প্রক্রিয়ায় কতিপয় ইনডেক্সধারী শিক্ষকের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তালিকায় বর্ণিত এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত উপরিউক্ত সাতটি বিষয়ের মধ্যে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তার দফাওয়ারি জবাব ১০ কর্মদিবসের মধ্যে এ দপ্তরে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাত দফা কার্যক্রমে আছে-জাল সনদধারী শিক্ষক বা কর্মচারীদের এমপিও বন্ধ ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করা, অবৈধভাবে গ্রহণকৃত বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ, যারা অবসরে গেছেন, তাদের অবসরের সুবিধাপ্রাপ্তি বাতিল করা, যারা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন তাদের আপত্তির টাকা অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করা, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাল সনদধারী শিক্ষক বা কর্মচারীদের অবসরের ভাতা বা কল্যাণ ট্রাস্টের ভাতা বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাল সনদধারীদের তালিকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো, জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধান কর্তৃক ফৌজদারি অপরাধের মামলা দায়ের করা এবং জাল সনদধারীদের নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে বর্তমানে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজার। এর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০ হাজার ৩১৬টি, কলেজ ২ হাজার ৬৬৪টি, মাদ্রাসা ৯ হাজার ২৯২টি এবং ২ হাজারের মতো কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য ২০০৫ সাল থেকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক ‘শিক্ষক নিবন্ধন সনদ’ বাধ্যতামূলক করা হয়। বতর্মানে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৪ লাখ শিক্ষক ও ১ লাখ কর্মচারী, যারা সরকারি বেতন- ভাতা পেয়ে থাকেন।

শিক্ষা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের ২৯ জন, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১০ জন, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১০০ জন এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১৭ জন শিক্ষকের সনদ জাল। এর বেশির ভাগই এনটিআরসিএ এবং কম্পিউটারের জাল সনদ দিয়ে এমপিও নিয়েছেন। স্কুল-কলেজের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাল সনদে শিক্ষকদের চাকরি করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তৎপরতায় নিয়মিতই শিক্ষকদের জাল সনদ পাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সনদ, এনটিআরসিএর সনদ ও কম্পিউটার সনদ জাল করে শিক্ষকরা দীর্ঘদিন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে সরকারি অর্থ ভোগ করছেন তারা।

মাউশির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষক বা কর্মচারীর জাল সনদের সত্যতা যাচাই করে তথ্য পাঠানো হয়েছে এবং উক্ত পত্রে জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে মোট সাতটি বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে এ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক যথাযথ প্রক্রিয়ায় কতিপয় ইনডেক্সধারী শিক্ষকের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তালিকায় বর্ণিত এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত উপরিউক্ত সাতটি বিষয়ের মধ্যে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তার দফাওয়ারি জবাব ১০ কর্মদিবসের মধ্যে এ দপ্তরে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাত দফা কার্যক্রমে আছে-জাল সনদধারী শিক্ষক বা কর্মচারীদের এমপিও বন্ধ ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করা, অবৈধভাবে গ্রহণকৃত বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ, যারা অবসরে গেছেন, তাদের অবসরের সুবিধাপ্রাপ্তি বাতিল করা, যারা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন তাদের আপত্তির টাকা অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করা, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাল সনদধারী শিক্ষক বা কর্মচারীদের অবসরের ভাতা বা কল্যাণ ট্রাস্টের ভাতা বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাল সনদধারীদের তালিকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো, জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধান কর্তৃক ফৌজদারি অপরাধের মামলা দায়ের করা এবং জাল সনদধারীদের নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আরও সংবাদ পড়ুন।

কোচিং ব্যবসা পরিহারের নিদের্শ রাষ্ট্রপতির

আরও সংবাদ পড়ুন।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের শুদ্ধি অভিযান, আতঙ্কে শতাধিক কর্মকর্তা

আরও সংবাদ পড়ুন।

চাকুরী হারালেন ১৫৪ শিক্ষক; ফেরত দিতে হবে বেতন ভাতা

আরও সংবাদ পড়ুন।

৬৭৮জন শিক্ষকের জাল সনদে চাকুরী! ফেরত দিতে হবে ভেতন ভাতার টাকা

আরও সংবাদ পড়ুন।

আগামী শনিবার মাধ্যমিক, রোববার খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়

আরও সংবাদ পড়ুন।

মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজে – এক ব্যক্তি পরপর দু’বারের বেশি সভাপতি হতে পারবেন না

আরও সংবাদ পড়ুন।

শিক্ষকদের কোচিং না করাতে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর

আরও সংবাদ পড়ুন।

আজ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে – এনটিআরসিএ

আরও সংবাদ পড়ুন।

সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজে ইন্টারনেট সংযোগসহ দুটি কম্পিউটার বাধ্যতামূলক

আরও সংবাদ পড়ুন।

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুপস্থিত শিক্ষকদের তালিকা চেয়েছে মাউশি

আরও সংবাদ পড়ুন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা – এক বছরেই দেড়’শ কোটি টাকার অনিয়ম

আরও সংবাদ পড়ুন।

কলেজে বসে মদপান, অধ্যক্ষ এস এম সালাহ উদ্দীন রুবেলকে বরখাস্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top