দুলারহাট থানার ওসি ঘুসখোর – থানায় গেলাম কোন বিচার পাইলাম না!

wnews360.com_20250615_213515_0000.png

দুলারহাট থানার ওসি ঘুসখোর – থানায় গেলাম কোন বিচার পাইলাম না!

উপজেলা প্রতিনিধিঃ আমার মেয়ের সাথে মেহেদীর ৫ বছরের সম্পর্ক। মেহেদী আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। মেয়ের এসব অপমান নিয়ে থানায় গিয়েছি। তবে থানায় গেলাম, কোন বিচার পাইলাম না। ওসি ঘুসখোর! কথা গুলো বলেছেন ধর্ষণের শিকার হওয়া এক কিশোরির মা।

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, “চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার নুরাবাদ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করেন তারা। তার মেয়ের সাথে পাশ্ববর্তী ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলাউদ্দিন মাস্টারের ছেলে মেহেদী হাসান মাসুদের ৫ বছরের সম্পর্ক ছিল। মেয়েকে অন্যত্রে বিয়ে দেয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। মেয়েদী আমার মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেছে। আমি ঘরে একা থাকি। এই সুযোগে মেহেদী আমার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি নিয়ে মেহেদীর বাবা আলাউদ্দিন মাষ্টারকে জানালে তারা বলে প্রমান নিয়ে আসেন। মেহেদী ৯ জুন রাতে তার বাড়ীতে মেয়েকে ডেকে নিয়ে তার মা ও ভাই মিলে তাকে ব্যাপক মারধর করে। পরে পুলিশ ওইদিন রাতে মেয়েকে উদ্ধার করে দুলারহাট থানায় নিয়ে আসে। তবে কোন অভিযোগ নেয়নি।”

ভুক্তভোগী কিশোরী জানান,“৬ষ্ট শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় মেহেদী হাসান মাসুদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তখন থেকে তার সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মেহেদী। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেহেদী তার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। গত ৯ জুন রাতে তাকে মেহেদী তার বাসায় ডেকে নেন সেখানেও শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা করেন। তবে মেহেদীর ভাই দেখে ফেলে। এসময় মেহেদীর মা ও ভাই সহ তাকে ব্যাপক মারধর করে। পরে দুলারহাট থানা পুলিশ বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়ার কথা বলে তাকে ও মেহেদীকে থানায় আনেন। তবে ওসিকে সব বিষয়ে জানালে ওসি বলে নেক্সট টাইমে এসব আর হবে না।

কিশোরী বলেন, সে তার প্রেমিক মেহেদী হাসান মাসুদ কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এই বিষয়টি দুলারহাট থানার ওসিকে জানানোর পরও তাদেরকে কোন আইনি সহায়তা দেয়নি।

অভিযুক্ত মেহেদী হাসান মাসুদের পিতা আলাউদ্দিন মাষ্টার জানান, দুলারহাট থানার ওসি বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছে। কিশোরীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছেলে মেহেদী শারীরিক সম্পর্কে করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওসি ওই বিষয়ে কোন প্রমান পায়নি।

দুলারহাট থানার ওসি আরিফ ইফতেখার নিজে অনেক অভিজ্ঞ ও ক্ষমতাবান পরিচয় দিয়ে বলেন, মেয়ের বক্তব্যর সাথে ধর্ষণের ঘটনার কোন মিল পেলাম না।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ছেলে পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অভিযোগ আমলে নিচ্ছেন না দুলারহাট থানার ওসি।

দুলারহাট থানার ওসি আরিফ ইফতেখারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। তিনি মানুষের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ নিয়েছেন।

তবে, দুলারহাট থানার ওসি আরিফ ইফতেখারের আগের কর্মস্থলেও নানা রকম অভিযোগ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top